আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস

আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস

 

আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস

 

আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস

আফ্রিকায় নবোপলীয় কৃষি সংস্কৃতি বিস্তার লাভ করার পর থেকে ‘সাহারার দক্ষিণের আফ্রিকার ইতিহাসকে নিয়ন্ত্রণ করেছে তার ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা। আফ্রিকার উত্তরাংশো মিশর, কার্থেজ এবং প্রায় সমগ্র উত্তর উপকূলে প্রাচীন পৃথিবীর উচ্চতম সভ্যতার উদয় হয়েছিল। কিন্তু সাহারার দক্ষিণে অবস্থিত সমস্ত নিম্ন আফ্রিকার অধিবাসীরা শিকারি বা কৃষিযুগের ট্রাইব সংস্কৃতির চেয়ে বেশি অগ্রসর হতে পারেনি।।

আফ্রিকার উত্তরাংশে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত বিশাল সাহারা মরুভূমির জন্য ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল থেকে অবশিষ্ট আফ্রিকা বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। আবার সমুদ্রপথেও আফ্রিকার ভিতর অন্য দিক দিয়ে প্রবেশ করা কঠিন ছিল, যদিও তার পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল বেষ্টন করে রয়েছে ভারত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর। কারণ আফ্রিকার উপকূল পোতাশ্রয় হিসাবে সুবিধাজনক নয়, তীরের কাছে সমুদ্র তরঙ্গবহুল এবং নদীগুলিও নৌ-পরিবহণের উপযুক্ত নয়।

তার উপর মহাদেশের ভিতরে প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে আছে উঁচু পার্বত্যভূমি এবং দেশের অভ্যন্তরে রয়েছে জলাভূমি ও গভীর অরণ্য। এ কারণে প্রাচীনকালে ফিনিশীয় নাবিকদের সহায়তায় নানা সভ্যদেশ সমুদ্রপথে আফ্রিকার অভ্যন্তরে পৌঁছার চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। কিন্তু মধ্য বা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবেশ করা দুঃসাধ্য হলেও, আফ্রিকা মহাদেশের অভ্যন্তরভাগ কিন্তু মানুষের বসবাসের অযোগ্য নয়। সেখানে আছে শীতল উপত্যকা, বিশাল তৃণভূমি, ঊর্বর নদী উপত্যকা।

এ ছাড়া সোনা, হাতির দাঁত, উটপাখির পালক, পশুর চামড়া প্রভৃতি আহরণ করার কৌশল জানত আফ্রিকার প্রাচীন অধিবাসীরা এবং এ সকল মূল্যবান পদার্থ দিয়ে তারা মিশর ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলির সাথে বাণিজ্য-বিনিময়ও করত। পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলের অধিবাসীরা চাষবাসের কাজে বেশ সাফল্য লাভ করেছিল। পশ্চিম আফ্রিকায় ছিল কয়েকটি সুদীর্ঘ নদী— যেমন, ২৬০০ মাইল লম্বা নাইজার নদী, ৫৬০ মাইল লম্বা সেনেগাল নদী, ৩৫০ মাইল লম্বা গাম্বিয়া নদী।

নদীগুলির মাধ্যমে আফ্রিকার প্রাচীন অধিবাসীরা সুদীর্ঘ অঞ্চল জুড়ে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রাখত। আফ্রিকাতে শিকারি সংস্কৃতির আধুনিক মানুষ ২০-২৫ হাজার বছর আগে থেকেই ছিল। তখন ছিল বরফ যুগ, সাহারা মরুভূমি তখন ছিল তৃণভূমি। সে যুগের শিকারী মানুষরা সারা দক্ষিণের আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়েছিল। এর পর বরফ যুগের অবসানে যখন আট দশ হাজার বছর আগে পশ্চিম এশিয়াতে নতুন পাথর যুগের কৃষি সংস্কৃতির উদ্ভব ঘটে তখন উত্তর আফ্রিকাতেও তার বিস্তার ঘটে।

কিন্তু বরফ যুগের অবসানে উত্তর আফ্রিকার জলবায়ুতে গভীর পরিবর্তন ঘটে : সাহারার তৃণভূমি এ সময়ে ক্রমশ মরুভুমিতে পরিণত হয়। সাহারা অঞ্চলের কৃষিজীবী মানুষরা এর ফলে বাধ্য হয়ে দক্ষিণে সরে যায়। এ কৃষি সমাজের মানুষদের সাথে আগেকার শিকারি সমাজের মানুষদের সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে পরবর্তীকালের সাহারার দক্ষিণস্থ আফ্রিকার জনসমাজ। সাহারা অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার পর থেকেই নিম্ন আফ্রিকা বা আফ্রিকার মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চল অবশিষ্ট পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

নিম্ন আফ্রিকায় তাই প্রধানত নবোপলীয় কৃষি ও পশুপালন সংস্কৃতি এবং পুরোপলীয় শিকারি সংস্কৃতির সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। আফ্রিকা মহাদেশে নানা জাতির মানুষ বাস করে। সাহারার উত্তরে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের দেশসমূহে প্রাচীনকাল থেকে হ্যামিটিক ভাষী শ্বেতাঙ্গ বারবার জাতির মানুষ বাস করত। পরবর্তীকালে এ অঞ্চলে সেমিটিকভাষী ইহুদী এবং আরব দেশের মানুষ আগমন করেছে। সাহারার দক্ষিণের আফ্রিকার অধিবাসীরা কৃষ্ণকায়।

আফ্রিকার কৃষ্ণ অধিবাসীদের তিনটি প্রধান ভিাগে বিভক্ত করা চলে। পশ্চিম উপকূল অঞ্চলে রয়েছে খাঁটি নিগ্রো জাতির মানুষ। উত্তর-পূর্বে মিশরের দক্ষিণ থেকে কেনিয়া পর্যন্ত মিশ্র হ্যামিটিক নিগ্রো জাতির মানুষ। আর সর্ব দক্ষিণে রয়েছে বান্টু জাতির মানুষ— এরা নিগ্রো ও অন্যান জাতির মিশ্রণে সৃষ্ট।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

উত্তর আফ্রিকা থেকে সাহারার দক্ষিণের নিম্ন আফ্রিকায় উচ্চতর সংস্কৃতির কিছু কিছু উপাদান অনুপ্রবেশ করলেও, নিম্ন আফ্রিকা উত্তর আফ্রিকা থেকে কার্যত সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন। এর ফলে মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণকায় মানুষরা এশিয়া-ইউরোপের উচ্চতর সভ্যতা থেকে প্রায় কিছুই উপকার পায়নি। এ কারণে, ইউরোপীয়রা পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে আফ্রিকায় যাওয়ার আগে বহু হাজার বছরের মধ্যে আফ্রিকাবাসীদের সমাজ ও অর্থনীতিতে কোন উল্লেখযোগ্য বিকাশ বা পরিবর্তন ঘটেনি।

সাহারার দক্ষিণের আফ্রিকায় লাঙল বা চাকার প্রচলন হয়নি, লেখন ও লিপির প্রচলন হয়নি, পঞ্জিকা বা অংক পাতন পদ্ধতির প্রচলন হয়নি। কারণ আফ্রিকার নিগ্রো জাতিরা নবোপলীয় কৃষি সংস্কৃতির চেয়ে উচ্চতর সমাজ ব্যবস্থায় উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হয়নি। অর্থাৎ সেখানে ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতার বিস্তার ঘটেনি। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাস আলোচনাকালে আমরা ব্যাখ্যা করেছি যে, বিচ্ছিন্নভাবে কোন জাতির পক্ষে উচ্চতর সমাজে উত্তরণ লাভ সম্ভব নয়।

অর্থাৎ আফ্রিকার মানুষরা ব্রোঞ্জ যুগের বা লৌহযুগের সমাজ নির্মাণ করতে পারত যদি মিশর বা গ্রীসের সভ্যতার সাথে তাদের প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপিত হত বা তার প্রভাব লাভ করত। ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতার দরুন দক্ষিণের আফ্রিকা অবশিষ্ট পৃথিবীর উচ্চতর সংস্কৃতির কাছ থেকে উন্নততর সমাজব্যবস্থার কলাকৌশল লাভ করতে পারেনি এবং সে কারণে অনুন্নত সমাজব্যবস্থাতেই আটকে থেকেছে।

ইউরোপীয়রা যাওয়ার আগে পর্যন্ত নিরক্ষীয় ও দক্ষিণের আফ্রিকার মানুষরা অধিকাংশই নবোপলীয় কৃষি সংস্কৃতির পর্যায়ে ছিল। তবে বুশম্যান, পিগমী প্রভৃতি কিছু কিছু জাতির মানুষ আদিম ধরনের শিকারি বৃত্তিতে নিয়োজিত ছিল। আবার কিছু কিছু উপজাতির মানুষ পশুপালনেও নিযুক্ত ছিল— যেমন, পূর্ব আফ্রিকার নান্দী ও মাসাই উপজাতি। মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকা নবোপলীয় সংস্কৃতি পর্যায়ে থাকলেও, আফ্রিকাবাসীরা লোহা নিষ্কাশন ও লোহার হাতিয়ার তৈরি করার কৌশল জানত।

এর অর্থ হল উত্তর আফ্রিকার উন্নত অঞ্চল থেকে লোহার ব্যবহার দক্ষিণের আফ্রিকাতে বিস্তার লাভ করেছিল। তবে এ রকম দু’ একটি সাংস্কৃতিক উপাদান বা কারিগরি বিদ্যা দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করলেও, এ অঞ্চল ছিল প্রকৃতপক্ষে বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন। আফ্রিকার কৃষ্ণ অধিবাসীরা ট্রাইব সমাজে সংগঠিত ছিল, কারণ তারা শিকারি এবং কৃষি সংস্কৃতির পর্যায়েই আবদ্ধ ছিল। আফ্রিকার সর্বত্রই এরা নবোপলীয় গ্রামে সংগঠিত হয়ে বাস করত।

ট্রাইব সমাজের পরিচয় আমরা আগেই প্রদান করেছি। এখানে আর তার পুনরুল্লেখ করা হল না। তবে মধ্য দক্ষিণ আফ্রিকার এ সকল ট্রাইব সমাজে যেমন লোহা প্রভৃতি কারিগরি বিদ্যার প্রবেশ ঘটেছিল, তেমনি উচ্চতর সমাজের ভাবাদর্শও কিছু পরিমাণে প্রবেশ করেছিল। যেমন, বুশম্যানদের মধ্যে বংশানুক্রমিক সর্দারের প্রথা প্রচলিত ছিল। কিন্তু আদি ট্রাইব সমাজে গোষ্ঠীপ্রধানের পদ বংশানুক্রমিক ছিল না। উত্তর আফ্রিকার শ্রেণী বিভক্ত সমাজের প্রভাবেই এটা ঘটা সম্ভব।

অস্ট্রেলিয়া বাইরের জগতের প্রভাবমুক্ত ছিল বলে সেখানে কোথাও বংশানুক্রমিক সর্দারের প্রথার সৃষ্টি হয়নি। আবার, বুশম্যান ও অন্যান্য কিছু কিছু উপজাতির মধ্যে দেবতায় বিশ্বাস ও দেবপূজার রেওয়াজ দেখা যায়। অথচ, আদি ট্রাইব সমাজে ছিল যাদু বিশ্বাস এবং টোটেম বিশ্বাস ও অনুষ্ঠান। ধর্ম বিশ্বাস ও দেবপূজার প্রচলন হয় ব্রোঞ্জযুগে। সভ্যসমাজের প্রভাবেই আফ্রিকার উপজাতিদের মধ্যে ধর্ম বিশ্বাসের প্রচলন হয়েছিল।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে, মিশর, দক্ষিণ আরবের মানুষ ও ফিনিশীয়রা মাঝে মাঝেই আফ্রিকার অভ্যন্তরে সম্পদের খোঁজে প্রবেশের চেষ্টা করত। ৩০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ভারতবর্ষ ও দক্ষিণ আরবের বণিকরা আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের অধিবাসীদের সাথে পণ্য বিনিময় করতে শুরু করে। প্রাচীন মিশরীয় সম্রাটদের বাণিজ্য বহর নীলনদ দিয়ে এবং আফ্রিকার পূর্ব উপকূল দিয়ে আফ্রিকার অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করেছে।

কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে, মিশরীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রভাব নীলনদের পথে দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় পৌঁছেছিল। এ পথে ভাবাদর্শগত চিন্তাধারা ও বস্তুগত উপাদান কৃষ্ণ আফ্রিকার আদিম চিন্তার উপর আরোপিত হলে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। ধাতুর কারিগর, কাঠ খোদাই প্রভৃতি হয়তো মিশর থেকেই কৃষ্ণ আফ্রিকায় বিস্তার লাভ করেছিল।

রোমান যুগে বর্তমান ইথিওপিয়ায় অবস্থিত এক্সাম অঞ্চলটি গুরুত্ব অর্জন করে। রোম সাম্রাজ্যের পূর্ব অংশ যখন বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয় তখন এক্সাম অঞ্চলে খ্রিস্টধর্ম প্রসার লাভ করে। অষ্টম শতাব্দীতে ইসলাম ধর্ম উত্তর আফ্রিকায় বিস্তার লাভ করলে ইথিওয়াপিয়া খৃষ্টীয় ইউরোপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। ইথিওপিয়াতে এখনও খ্রিস্টধর্ম বিদ্যমান আছে।

মুসলমানদের উত্তর আফ্রিকা বিজয়ের পর মুসলিম বারবার ও আরবরা সাহারা অতিক্রম করে দক্ষিণ ও পশ্চিম আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ল। ইতিপূর্বে উত্তর আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গরা চতুর্থ শতাব্দীতে ঘানায় একটি রাষ্ট্র স্থাপন করেছিল। এ রাষ্ট্র ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। অবশ্য নিগ্রোরা ক্রমশ বিজয়ীদের আত্মস্থ করে নিয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণকায় রাজা এ রাজ্যের সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন।

দশম শতাব্দীর পর মুসলিম বারবার জাতি ঘানা আক্রমণ করে। অবশেষে ঘানা অংশত মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত হয়। আফ্রিকার পূর্ব উপকূলেও অনেকগুলি মুসলিম রাজ্য স্থাপিত হয়। একালের ইতিহাস মধ্যযুগের ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আফ্রিকার প্রাচীন অধিবাসীরা অবশিষ্ট পৃথিবী থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন থাকার দরুন অনুন্নত সমাজেই আবদ্ধ ছিল। কিন্তু সে জন্য তাদের বুদ্ধিহীন ভাবার কোনো কারণ নেই।

 

আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস

 

যখনই তারা কোনো নতুন কলাকৌশলের সাক্ষাৎ পেয়েছে, তা তারা আশ্চর্য দক্ষতার সাথে গ্রহণ করেছে। যেমন, ইউরোপীয়রা ষোল শতকে আফ্রিকায় যাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণ অধিবাসীরা অল্পকালের মধ্যেই লোহার ব্যবহার শিখে তীরের ফলক তৈরির কাজে হাড় বা পাথরের পরিবর্তে লোহার ব্যবহার শুরু করে। কৃষ্ণ আফ্রিকীয়দের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তির আরেকটা দৃষ্টান্ত দেওয়া যাক।

আফ্রিকার মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে বিভিন্ন ভাষাভাষী উপজাতি বাস করলেও তারা নিজেদের মধ্যে সংবাদ আদান-প্রদানের জন্য টমটম বা ঢাক বাজিয়ে খবর পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। ঢাকের সংকেত সব উপজাতির মানুষ বুঝতে পারে। এক গ্রামের ঢাকের আওয়াজ শুনলে আরেক গ্রামের লোক ঢাক বাজিয়ে সে খবর আরও দূরে পাঠিয়ে দেয়। এভাবে আফ্রিকার কৃষ্ণ অধিবাসীরা একদিনের মধ্যে আফ্রিকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে খবর পাঠাতে পারত।

আরও দেখুন :

Leave a Comment