স্বাস্থ্য-জ্ঞান ও নীতিমালাতে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ

আজকের আলোচনার বিষয় স্বাস্থ্য-জ্ঞান ও নীতিমালাতে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ – যা স্বাস্থ্য ভাবনা এবং স্বাস্থ্যের নৃবিজ্ঞান এর অর্ন্তভুক্ত, এখানে অত্যন্ত সংক্ষেপে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নৃবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ একটা পরিচয় করিয়ে দেব। এর লক্ষ্য হচ্ছে: ফলিত নৃবিজ্ঞানকে শক্ত ভিত্তি দান করাবার কাজে যাতে আপনারা ভাবনা-চিন্তা করবার ক্ষেত্র পান।

স্বাস্থ্য-জ্ঞান ও নীতিমালাতে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ

 

স্বাস্থ্য-জ্ঞান ও নীতিমালাতে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ

 

আপনারা এরই মধ্যে জেনেছেন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নৃবিজ্ঞানের পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক। এই পরিধিতে বহু ধরনের প্রসঙ্গ এসেছে – আধুনিক চিকিৎসা জ্ঞান, পশ্চিমা ওষুধ থেকে শুরু করে শিল্পবিহীন সমাজের – স্বাস্থ্য জ্ঞান এবং ওষুধ অবধি। কিছু কিছু নৃবিজ্ঞানী এই ব্যাপকতার মধ্যে কিছু জরুরী প্রশ্ন তুলেছেন।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

তাঁরা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পশ্চিমা আধুনিক জ্ঞানকে অনেক স্বাস্থ্য-সংকটের জন্য দায়ী মনে করছেন। কেউ কেউ আবার ওষুধ বানানোর কারখানা বা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির আধিপত্যকেও শনাক্ত করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় অনেক নৃবিজ্ঞানী অ-পশ্চিমের সমাজ থেকে কল্যাণকর চিকিৎসা বিদ্যা সামনে নিয়ে আসছেন। সেগুলো সম্ভব হচ্ছে চিন্তাশীল ও প্রশ্নমনস্ক ফলিত নৃবিজ্ঞানের চর্চা থেকে ।

 

স্বাস্থ্য-জ্ঞান ও নীতিমালাতে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ

 

দার্শনিক মিশেল ফুকোর একটা গ্রন্থে পশ্চিমা চিকিৎসা জ্ঞানকে জোরালো ভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে, নানান শক্তিশালী যুক্তি দিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে। এরপর অনেক নৃবিজ্ঞানী বা অন্যান্য শাস্ত্রের গবেষক সেই যুক্তিকে আশ্রয় করেছেন। আপনারা জেনেছেন প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়ে থাকে। সেসব গবেষণার পেছনে প্রধানত জনসংখ্যা বিষয়ক দুর্ভাবনা কাজ করে এটা এখন অনেকেই যুক্তি – দিচ্ছেন। আধুনিক প্রজনন চিকিৎসা কিভাবে নারীর স্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেটা নিয়েও নৃবৈজ্ঞানিক গবেষণা কাজ হচ্ছে। এরকম ধরনের কাজ ও তৎপরতা নৃবিজ্ঞানের সম্ভাবনাকে ধীরে ধীরে স্পষ্ট করে তুলছে।

Leave a Comment