মধ্য রাজত্বের যুগ

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় মধ্য রাজত্বের যুগ

মধ্য রাজত্বের যুগ

 

মধ্য রাজত্বের যুগ

 

মধ্য রাজত্বের যুগ

পুরোনো রাজত্বের যুগ শেষ হয় প্রায় ২৩০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে। এ সময়ে কেন্দ্ৰীয় শাসন কার্যত দুর্বল হয়ে পড়ে। পরবর্তী দু’শো বছর ধরে অবশ্য বিভিন্ন রাজবংশের নামমাত্র শাসন বজায় ছিল। কিন্তু তারা প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী ছিল না। এ সময়ে স্থানীয়ভাবে নোমগুলো আবার শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং নোম শাসক ও প্রাদেশিক শাসকরা অনেক স্থানে ক্ষমতা করায়ত্ত করে। করভারে জর্জরিত জনসাধারণও ঘন ঘন বিদ্রোহের আশ্রয় নেয়।

এ সামাজিক অসন্তোষের যুগে নিগ্রো ও এশীয় জাতিসমূহের আক্রমণের ফলে অরাজকতা আরো বেড়ে যায়। প্রায় ২১০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে একাদশ রাজবংশের উদয়ের পর এ অরাজক কালের অবসান ঘটে এবং মিশর আবার একটি কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়। মিশরের ইতিহাসের এ যুগকে বলা হয় ‘মধ্য রাজত্বের-যুগ’। আনুমানিক ১৭৫০ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ পর্যন্ত এ যুগ স্থায়ী হয়েছিল।

প্রাচীন রাজত্বের তুলনায় মধ্য রাজত্বের-যুগের শাসন ছিল অনেক দুর্বল। এ আমলে প্রাদেশিক শাসনকর্তা ও বিভিন্ন অঞ্চলের অভিজাতদের হাতেই ক্ষমতা রয়ে যায়। অবশ্য ২০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের পর দ্বাদশ রাজবংশের ফারাওরা আগের আমলের সম্রাটদের মতো ক্ষমতা কিছুটা ফিরে পায়।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

মধ্য রাজত্বের কালে সেচব্যবস্থার উন্নতির জন্য, বিশেষত ফায়ুম মরূদ্যান অঞ্চলের জলসেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বিস্তারের জন্য ব্যাপক নির্মাণকাজ সমাধা করা হয়।

ব্যবসা বাণিজ্য এবং বিভিন্ন কারিগরি শিল্পের প্রসার ঘটে এ সময়ে। এ যুগের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে৷ কৃষক জনগণ ক্রমশ নিঃস্ব দরিদ্রে পরিণত হয়। বড় বড় নির্মাণকাজ ও ধনীদের বিলাসিতার ব্যয় বহন করতে হত কৃষক ও জনসাধারণকে। ফলে, সমাজে ধনবৈষম্য অর্থাৎ ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে অবস্থার পার্থক্য খুব বেশি রকম বেড়ে যায়।

 

মধ্য রাজত্বের যুগ

 

আনুমানিক ১৭৫০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে কৃষক, কারিগর ও দাসদের ব্যাপক সমাজ বিপ্লবের মাধ্যমে দ্বাদশ রাজবংশের অবসান ঘটে। বিদ্রোহী জনসাধারণ রাজা, উজির ও অভিজাতদের বাড়িঘর দখল করে; রাজভাণ্ডার, শস্যভাণ্ডার এবং মন্দির-পিরামিডের ধনরত্ন লুট করে নেয়; কর ও খাজনার দলিলপত্র পুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়।

আরও দেখুন :

Leave a Comment