মাতৃসূত্রীয় বংশধারা

আজকের আলোচনার বিষয়  জ্ঞাতিত্ব পদাবলী অধ্যায়ের সারাংশ – যা সামাজিক কাঠামো ও জ্ঞাতিত্ব এর অর্ন্তভুক্ত, মাতৃসূত্রীয় বংশধারা ব্যবস্থায় সন্তানেরা তাদের মায়ের গোষ্ঠীর অধিভুক্ত ( filiated, filiation) বা সদস্য। অথবা আরো স্পষ্ট করে বললে, সন্তানেরা তাদের মামার দলের অধিভুক্ত কারণ মাতৃসূত্রীয় সমাজে ক্ষমতা এবং মর্যাদা ধারণ করেন পুরুষেরা, যদিও তা প্রবাহিত হয়, এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে, নারী বংশধরদের মাধ্যমে। মাতৃসূত্রীয় বংশ বলা হয় সেই জ্ঞাতি দলকে যারা একই পূর্বসূরী নারীর বংশধর।

মাতৃসূত্রীয় বংশধারা

 

মাতৃসূত্রীয় বংশধারা

মায়ের দিকের পরিবারের সঙ্গে জ্ঞাতিসম্পর্ককেন্দ্রিকতা থাকলে তাকে বলা হয় মাতৃসূত্রীয় পরিবার। মাতৃসূত্রীয় পরিবারে সাধারণত পরিবারের প্রধান হয় একজন নারী। নারীর অধীনস্তে পরিবারের খানাব্যবস্থা গঠিত হয়। পরিবারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তগুলোতে নারীদের বিশেষ প্রাধান্য থাকে। সম্পত্তির উত্তরাধিকারসূত্রও নারীদের দিক থেকে বাহিত হয়।

মাতৃসূত্রীয় বংশধারা ব্যবস্থায় সন্তানেরা তাদের মায়ের গোষ্ঠীর অধিভুক্ত বা সদস্য। অথবা আরো স্পষ্ট করে বললে, সন্তানেরা তাদের মামার দলের অধিভুক্ত কারণ মাতৃসূত্রীয় সমাজে ক্ষমতা এবং মর্যাদা ধারণ করেন পুরুষেরা, যদিও তা প্রবাহিত হয়, এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে, নারী বংশধরদের মাধ্যমে। মাতৃসূত্রীয় বংশ বলা হয় সেই জ্ঞাতি দলকে যারা একই পূর্বসূরী নারীর বংশধর।

 

মাতৃসূত্রীয় বংশধারা

 

মাতৃসূত্রীয় বংশধারা কিন্তু মাতৃতন্ত্র নয় Ñ নারীবাদী নৃবিজ্ঞানীরা বারবার এ বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন। তার কারণ, এই ব্যবস্থায় পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আছে। পুরুষের কর্তৃত্ব থাকলেও বংশধারার সদস্যপদ কিংবা উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি অথবা পদ পুরুষ ধারার মাধ্যমে নির্ধারিত নয়।
এই ব্যবস্থায় একজন পুরুষ সম্পত্তি পায় তার মায়ের ভাইয়ের কাছ থেকে, এবং তার সন্তানেরা পায় তার স্ত্রীর ভাই হতে। হয়ত এ কারণেই কিছু নৃবিজ্ঞানী একে মাতৃতন্ত্র (অথবা মাতৃ-অধিকার) না বলে, এর নাম দিয়েছেন “ভাই-অধিকার”। ভারতের কেরালা রাজ্যের নায়ারদের মাঝে ছিলো মাতৃসূত্রীয় ব্যবস্থা।

নায়ার ভাই এবং বোন একই গৃহে বসবাস করতেন, বোনদের স্বামীরা এই ভাই-বোন গৃহে নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন। এভাবেই মাতৃসূত্রীয় এই বংশধারার নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি হ’ত। কিছু মাতৃসূত্রীয় সমাজে ভিন্ন ধরনের প্রচলন দেখা গেছে: এ সমাজগুলোতে স্বামী এবং স্ত্রী নিয়মিত একে অপরের বাসস্থানে যেয়ে কিছুকাল থাকেন।

 

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

মাতৃসূত্রীয় বংশধারা কিন্তু মাতৃতন্ত্র নয় নারীবাদী নৃবিজ্ঞানীরা বারবার এ বিষয়ের উপর জোর – দিয়েছেন। তার কারণ, এই ব্যবস্থায় পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আছে। পুরুষের কর্তৃত্ব থাকলেও বংশধারার সদস্যপদ কিংবা উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি অথবা পদ পুরুষ ধারার মাধ্যমে নির্ধারিত নয়। এই ব্যবস্থায় একজন পুরুষ সম্পত্তি পায় তার মায়ের ভাইয়ের কাছ থেকে, এবং তার সন্তানেরা পায় তার স্ত্রীর ভাই হতে।

হয়ত এ কারণেই কিছু নৃবিজ্ঞানী একে মাতৃতন্ত্র (অথবা মাতৃ-অধিকার) না বলে, এর নাম দিয়েছেন “ভাই-অধিকার”। ভারতের কেরালা রাজ্যের নায়ারদের মাঝে ছিলো মাতৃসূত্রীয় ব্যবস্থা। নায়ার ভাই এবং বোন একই গৃহে বসবাস করতেন, বোনদের স্বামীরা এই ভাই-বোন গৃহে নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন। এভাবেই মাতৃসূত্রীয় এই বংশধারার নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি হ’ত। কিছু মাতৃসূত্রীয় সমাজে ভিন্ন ধরনের প্রচলন দেখা গেছে: এ সমাজগুলোতে স্বামী এবং স্ত্রী নিয়মিত একে অপরের বাসস্থানে যেয়ে কিছুকাল থাকেন।

 

মাতৃসূত্রীয় বংশধারা

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment