মানুষের বিবর্তন

মানুষের বিবর্তন একটি জটিল ও রহস্যময় বিষয়, যা মানবজাতির উদ্ভব থেকে শুরু করে আধুনিক মানুষের হয়ে ওঠার পর্যন্ত দীর্ঘকালীন পরিবর্তন ও প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা বর্ণনা করে। প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজন, জৈবিক ও সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যমে মানবজাতি ক্রমশ বিকশিত হয়ে আজকের আধুনিক মানুষের রূপ লাভ করেছে। এই আর্টিকেলে আমরা মানব বিবর্তনের বিভিন্ন ধাপ, গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, এবং এ প্রক্রিয়ার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে আলোচনা করব।

মানুষের বিবর্তন

 

মানুষের বিবর্তন

 

মানুষের বিবর্তন

রামাপিথেকাস

বৈজ্ঞানিকরা মানুষের দেহের সাথে প্রইমেটদের দেহের মিল দেখে স্থির করেছেন, বৃক্ষবাসী প্রাইমেট থেকেই অনেককাল আগে মানুষের উদ্ভব হয়েছিল। বৃক্ষবাসী প্রাইমেটদের কোন শাখার প্রাণী থেকে মানুষের উৎপত্তি হয়েছিল তা অবশ্য বলা কঠিন। কারণ কয়েক কোটি বছর ধরে এ বিবর্তন ঘটেছে এবং এত আগেকার প্রাইমেটদের কোনো জীবিত বংশধর আজকের পৃথিবীতে নেই।

আদি প্রাইমেটদের বংশধরেরা বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে কেউ পরিণত হয়েছে বানরে, কেউ শিম্পাঞ্জীতে, কেউ গরিলায়। ঐ প্রাইমেটদেরই একটা শাখা জন্ম দিয়েছে মানুষের। যেসব অবলুপ্ত প্রাইমেট থেকে অনেককাল আগে মানুষের উদ্ভব হয়েছিল, তাদের সম্পর্কে কিছু কিছু জানা যায় কেবলমাত্র ফসিল-এর সাক্ষ্য থেকে। প্রাচীনকালের যেসব প্রাণীদেহের অংশ কোনক্রমে মাটির নিচে চাপা পড়ে পাথরে পরিণত হয়েছে তাদের বলা হয় ফসিল (এম ধফ) বা জীবাশ্ম।

ফসিল থেকে বৈজ্ঞানিকরা তিনশ’ ও চারশ’ কোটি বছর আগেকার জীব সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। কিন্তু আশ্চর্য হলেও এ কথা সত্যি যে, চার কোটি বছর আগের প্রাইমেটদের ফসিল বিশেষ পাওয়া যায়নি। কারণ, বৃক্ষবাসী প্রাইমেটরা বনে থাকত। আর যে ধরনের পাথরে ফসিল রক্ষা পায়, বনের মাটি থেকে সে রকম পাথরের সৃষ্টি হয় না।

তবে আফ্রিকা, ভারতীয় উপমহাদেশ প্রভৃতি যেসব অঞ্চলে ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়েছে, সেখানে মৃত প্রাইমেট বা অন্য প্রাণী নদীতে পড়লে নদীর তলার বা তীরের কাদামাটিতে চাপা পড়ে যেত এবং কালক্রমে তা পাথরে পরিণত হত। এরকমভাবে রক্ষা পাওয়া এক জাতের প্রাইমেটের ফসিল পাওয়া গেছে কেনিয়ায় আর ভারতে। এদের নাম দেওয়া হয়েছে রামাপিথেকাস।

রামাপিথেকাস-এর দাঁতগুলো লক্ষণীয়। অধিকাংশ প্রাইমেটদের তীক্ষ্ণ শব্দন্ত থাকে, এগুলো আত্মরক্ষা ও শত্রুকে আক্রমণের কাজে লাগে। কিন্তু রামাপিথেকাসের শ্বদন্ত ছিল ছোট। এরা সম্ভবত হাতের সাহায্যে আত্মরক্ষা করত। এবং টুকরো পাথরকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করত। রামাপিথেকাসরা সম্ভবত সময় সময় বা অধিকাংশ সময় দুপায়ে হাঁটত, হাতকে অন্য কাজে লাগাত। চার পায়ের বদলে দুপায়ে দাঁড়ানো কিভাবে সম্ভব হয়েছিল?

মনে রাখা দরকার বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ও ভৌগোলিক পরিবেশের পরিবর্তনের ফলে অনেক প্রাণীর বিবর্তনের সূচনা হয়েছে। দেড় দুই কোটি বছর আগে পৃথিবীর জলবায়ু শুষ্ক হয়ে উঠেছিল, সে সময় বনভূমি ক্রমে কমে আসে এবং তৃণভূমির বিস্তার ঘটে। হাতি, ঘোড়া, শূকর, জিরাফ, হরিণ প্রভৃতি আশ্রয় নেয় এ তৃণভূমিতে।

কিছু কিছু প্রাইমেট গাছেই রয়ে যায়, রামাপিথেকাসরা গাছ ছেড়ে মাটিতে নেমে এসেছিল। খোলা মাটিতে চলতে গিয়ে এরা সম্ভবত ক্রমশ দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছিল,হাতের সাহায্যে এরা হয়তো খাদ্য সংগ্রহ করত। বৈজ্ঞানিকদের অনুমান, রামাপিথেকাসের বংশধরদের একটা শাখা থেকেই ক্রমশ মানুষের উৎপত্তি হয়েছে।

 

অস্ট্রালোপিথেকাস

এর পরবর্তী উন্নততর এক প্রাইমেটের ফসিল পাওয়া গেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। তার নাম। দেওয়া হয়েছে অস্ট্রালোপিথেকাস। কথাটার অর্থ দক্ষিণের ‘নরবানর’। কিন্তু আসলে এরা নর বানর ছিল। এদের শব্দন্ত ছিল না ছোট আর কোমরের হাড়, হাত, পা, চোয়াল ইত্যাদি ছিল প্রায় মানুষেরই মতো। তবে তার মস্তিষ্কের আয়তন ছিল আধুনিক মানুষের প্রায় অর্ধেক। পরে আফ্রিকার অন্যান্য স্থানেও এদের কঙ্কালের হাড় পাওয়া গেছে।

সবচেয়ে পুরনো হাড় যেটি পাওয়া গেছে সেটি চল্লিশ লাখ বছর আগের। রামাপিথেকাসের পরবর্তী যেসব প্রাইমেট ক্রমশ দুই পায়ে ভালভাবে হাঁটতে শিখেছিল এবং ভালভাবে পশু শিকারের কৌশল আয়ত্ত করেছিল তাদের কঙ্কাল বা ফসিল এখনও পাওয়া যায়নি। সম্ভবত আফ্রিকাতেই এসব ফসিলের সাক্ষাৎ পাওয়া যাবে। কারণ পণ্ডিতদের মতে আফ্রিকাই হচ্ছে আদি মানবের বাসভূমি ও উৎপত্তি-স্থল।

তাঞ্জানিয়ার এক হ্রদের পাড়ে সাড়ে সতের লক্ষ বছর আগে একদল অস্ট্রালোপিথেকাস জাতীয় আধা-মানুষ বাস করত। তাদের জীবনযাত্রার নানা উপকরণ, তাদের ব্যবহৃত হাতিয়ার ইত্যাদি পুরাতাত্ত্বিকরা উদ্ঘাটন করেছেন। সে সময় হ্রদের পাশের প্রান্তরে বাস করত অদ্ভুত সব প্রাণী— ছোট গলাবিশিষ্ট শিংওয়ালা জিরাফ, তিন আঙুলওয়ালা ছোট আকারের ঘোড়া, লম্বা লম্বা কানওয়ালা শেয়াল, হায়েনা, বিশাল আকারের হাতি ইত্যাদি।

তবে অস্ট্রালোপিথেকাসরা সম্ভবত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাঙ, গিরগিটি, খরগোস, হাঁস ইত্যাদি ধরে খেত। তবে তারা যে বেবুন শিকার করত তারও প্রমাণ আছে। এদের ব্যবহৃত প্রাচীনতম যেসব পাথরের হাতিয়ার পাওয়া গেছে তা প্রায় ২৫ লাখ বছরের পুরান।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

খাড়া মানুষ

তাঞ্জানিয়ার হ্রদের পাড়ের আধা-মানুষদেরও বিবর্তন ঘটতে থাকে এবং আট দশ লাখ বছর আগে আফ্রিকাতেই নতুন আরেক ধরনের মানুষের উৎপত্তি ঘটে। এদের নাম খাড়া মানুষ। এরা খাড়া হয়ে চলত। এ পর্যায়ে আমরা মানুষের চেহারা নিয়ে কথা বলতে পারি। এর আগে পর্যন্ত মানুষের চেহারা বানর থেকে বিশেষ পৃথক ছিল না। খাড়া মানুষদের অবশ্য থুতনি বা কপাল বলতে কিছু ছিল না আমাদের মতো, আর তার ভুরুর খাঁজ ছিল গভীর আর চোয়াল ছিল বেশ বড়।

তথাপি তার দাঁত আর হাত-পাগুলো ছিল মানুষের মতো আর মগজ ছিল অস্ট্রালোপিথেকাসের দ্বিগুণ। খাড়া মানুষদের সময়ে তার আশেপাশে ছিল আশ্চর্য সব জন্তু-জানোয়ার। সেখানে তখন ছিল ঘোড়ার চেয়ে বড় আকারের ভেড়া, গরিলার মতো বড় আকারের বেবুন, বড় পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে অনেক বেশি চালাক, চতুর ও দক্ষ শিকারী হতে কুকুরের সমান সজারু আর তখনকার গণ্ডার ছিল এখনকার তুলনায় দ্বিগুণ আকারের।

এ হয়েছে। আশ্চর্য নয় যে খাড়া মানুষের মগজ খুব বড় ছিল। তার হাতিয়ারও ছিল উন্নত ধরনের। তার ছিল হাত-কুড়াল ও গাইতি। হাত-কুড়াল অবশ্য কুড়াল নয় এটা একটা পাথরের ছোট অস্ত্র, যার এক প্রান্ত ছুঁচালো অন্য প্রান্ত ভোঁতা এবং লম্বালম্বিভাবে দুই পাশ ধারালো। গাঁইতিগুলোও হাত-কুড়ালের মতোই, তবে আরও ভারী ও বড়। হাত-কুড়াল দিয়ে শিকার করা, প্রাণীর মাংস কাটা, চামড়া ছাড়ানো ইত্যাদি কাজ সহজে করা যেত।

 

বরফ যুগ

ছয় সাত লাখ বছর আগে খাড়া মানুষরা প্রথমে উত্তর আফ্রিকায় এবং তারপর ইউরোপ ও এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। উন্নত হাতিয়ারের বলে জীবনসংগ্রামে জয়ী হওয়ায় হয়তো তাদের দ্রুত বংশবৃদ্ধি হয়েছিল এবং তার ফলে আদি বাসভূমি ছেড়ে বাইরে যেতে বাধ্য হয়েছিল। আবার উন্নত ধরনের শিকারের হাতিয়ার তাদের নতুন পরিবেশে ছড়িয়ে পড়াকে সম্ভবও করে তুলেছিল। এ দিকে ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীতে এক সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর নাম দেওয়া হয়েছে বরফ যুগ। সে সময় উত্তর মেরু থেকে বিশাল আকারের সব হিমবাহ দক্ষিণে আসতে শুরু করে এবং উত্তর গোলার্ধের অধিকাংশ স্থলভাগকে অর্থাৎ উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার উত্তরাংশকে বরফে ঢেকে দেয়। হিমবাহ হচ্ছে বড় বড় বরফের পাহাড় বা জমাট বরফের সচল নদী।

দক্ষিণ গোলার্ধে স্থলভাগ বেশি না থাকায় সম্ভবত সমুদ্রে ভাসমান বরফের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বত অঞ্চলে এবং নিউজিল্যাণ্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পর্বতসমূহেও হিমবাহের সৃষ্টি হয়েছিল। বরফ যুগ প্রকৃতপক্ষে একটি ছিল না, ছিল চারটি। প্রায় সোয়া ছয় লাখ বছর আগে প্রথম বরফ যুগ শুরু হয় এবং প্রায় ৬০ হাজার বছর তা স্থায়ী হয়। এ সময় উত্তর গোলার্ধের স্থলভাগের বিস্তৃত অংশ এক মাইল পুরু বরফের আস্তরণে ঢেকে যায়।

তারপর প্রথম বরফ যুগের অবসান ঘটে। কিন্তু এক লাখ বছর পর আবার দ্বিতীয় বরফ যুগের সৃষ্টি হয় এবং এটা প্রায় ৪০ হাজার বছর স্থায়ী হয়। এ রকম ভাবে পৃথিবীতে চারটে বরফ যুগের আবির্ভাব ঘটেছে এবং তাদের মাঝে মাঝে দেখা দেয় আন্তঃবরফ যুগ। এ রকম তিনটা আন্তঃবরফ .যুগ এ পর্যন্ত পার হয়েছে। আন্তঃবরফ যুগে পৃথিবীর জলবায়ু কিছুটা উষ্ণ হয়ে উঠত।

শেষ বা চতুর্থ বরফ যুগ শুরু হয়েছিল প্রায় ৮০ হাজার বছর আগে এবং তার অবসান ঘটে প্রায় ১০ হাজার বছর আগে। কোনো কোনো পণ্ডিতের মতে ভবিষ্যতে আবারও বরফ যুগের সৃষ্টি হতে পারে। তাহলে বলতে হবে আমরা এখন একটা আন্তঃবরফ যুগে বাস করছি। বরফ যুগের আবির্ভাব কেন হয়েছিল তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। বিজ্ঞানীদের ধারণা, কোনো কারণে সূর্যের তাপ কমে যাওয়ার ফলে পৃথিবী শীতল হয়ে বরফ যুগের সৃষ্টি করেছিল। তবে এ বিষয়ে ভিন্নমতও আছে।

পানি জমেই বরফ হয়। বরফ যুগে এত এত বরফ হওয়ার মতো পানি এল কোথা থেকে? এখনকার দুনিয়ায় যে জলবায়ু, তাতে সমুদ্রের পানি বাষ্প হয়ে আকাশে উড়ে যায়, সেটা আবার বৃষ্টি হয়ে মাটিতে পড়ে এবং নদী বেয়ে আবার সমুদ্রে ফিরে যায়। বরফ যুগে সমুদ্রের পানি বাষ্প হয়ে আকাশে উঠত, তারপর তুষার হয়ে মাটিতে পড়ত। এখনও সাইবেরিয়া প্রভৃতি শীতাঞ্চলে শীতকালে তুষার পড়ে।

বরফ যুগে অবশ্য অনেক বেশি বিস্তৃত অঞ্চলে অনেক বেশি পরিমাণ তুষার পড়ত। এ সকল তুষার জমাট বেঁধে শক্ত বরফে পরিণত হয়ে মাটিতেই থেকে যেত, পানি, হয়ে আর সমুদ্রে ফিরত না। এভাবে সমুদ্রের পানি কমে যাওয়ায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা অনেক কমে গিয়েছিল। পণ্ডিতদের হিসাব অনুযায়ী এখন সমুদ্রের পানি যেখানে আছে বরফ যুগে তার চেয়ে চারশ ফুট নিচে নেমে গিয়েছিল।

এর ফলে এখন মহাদেশগুলোর উপকূলে যেখানে সমুদ্রের পানি অগভীর, বরফ যুগে সেখানে মাটি দেখা দিয়েছিল। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপগুলোর সাথে এশিয়া মহাদেশ স্থলপথে সংযুক্ত হয়ে পড়েছিল। বরফ যুগে আফ্রিকাতে হিমবাহ পৌঁছায়নি। কিন্তু তথাপি বরফ যুগে তার জলবায়ুকে প্রভাবিত করেছিল। বরফ যুগে আফ্রিকার জলবায়ু শীতল ও আর্দ্র ছিল। সাহারা মরুভূমি তখন এত ভয়ঙ্কর ছিল না, তাকে অতিক্রম করা দুঃসাধ্য ছিল না।

সে সময় সম্ভবত খাড়া মানুষরা সাহারার মধ্য দিয়ে উত্তর আফ্রিকা পার হয়ে ইস্রায়েল এবং তুরস্কের মধ্য দিয়ে ইউরোপে পৌঁছায়। খাড়া মানুষদের কোনো কোনো দল ভারতবর্ষের মধ্য দিয়ে চীন এবং জাভায় গিয়ে পৌঁছায়। আগেই বলা হয়েছে বরফ যুগে জাভা ইত্যাদি দ্বীপ এশিয়া মহাদেশের সাথে যুক্ত হয়েছিল। এদের কঙ্কাল চীনে এবং জাভায় পাওয়া গেছে। পিকিং-এ যে মানুষদের কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল তাদের নাম দেওয়া হয়েছিল পিকিং মানুষ।

 

মানুষের বিবর্তন

 

জাভায় যাদের কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল তাদের নাম দেওয়া হয়েছিল জাভা মানুষ। দুই জায়গার কঙ্কালই পাঁচ লাখ বছরের পুরান। এরা আসলে একই দলের মানুষ— খাড়া মানুষ। ইউরোপে হাঙ্গেরি, স্পেন এবং ফ্রান্সেও এ খাড়া মানুষদের কঙ্কাল পাওয়া গেছে।

Leave a Comment