ধৰ্ম : মিথ ও আচার

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ধৰ্ম : মিথ ও আচার। ধর্ম একটি সার্বজনীন সাংস্কৃতিক প্রপঞ্চ, অর্থাৎ সকল সমাজেই কোন না কোন আকারে ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার-অনুষ্ঠানের উপস্থিতি রয়েছে। এক ধর্মের অনুসারীদের কাছে অন্য ধর্মের অনুসারীদের বিশ্বাসসমূহ ভ্রান্ত বলে গণ্য হতে পারে, কিন্তু নৃবিজ্ঞানীরা সাধারণভাবে সকল ধর্মকেই সমান মর্যাদা দিয়ে থাকেন।

এছাড়া এমন অনেক জনগোষ্ঠী আছে যাদের বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার-অনুষ্ঠান বৈশ্বিকভাবে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত এমন কোন নির্দিষ্ট ধর্মের আওতায় পড়ে না। মিশনারীবৃন্দসহ অনেকে কোন কোন ক্ষেত্রে এমন জনগোষ্ঠীদের ‘ধর্মহীন’ হিসাবে বিবেচনা করেছেন, তবে নৃবিজ্ঞানীরা তেমনটি করেন নি। বরং তাঁরা ধর্মের সংজ্ঞা সম্প্রসারিত করে এটিকে একটি সার্বজনীন সাংস্কৃতিক প্রপঞ্চ হিসাবে গণ্য করেছেন, যার উপস্থিতি মানব ইতিহাসের সূচনালগ্নেও ছিল।

ধৰ্ম : মিথ ও আচার

 

ধৰ্ম : মিথ ও আচার

 

নৃবিজ্ঞানে ধর্ম

নৃবিজ্ঞানে সাধারণভাবে ধর্মকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে বিভিন্ন অতিপ্রাকৃত সত্তা, ক্ষমতা বা শক্তি সংক্রান্ত বিশ্বাস ও আচার-অনুষ্ঠানের সামষ্টিক রূপ হিসাবে। ‘অতিপ্রাকৃত’ বলতে বোঝায় সেইসব বিষয় যেগুলোকে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য প্রাকৃতিক জগতের বাইরে বা উর্ধে বলে গণ্য করা হয়, যেগুলোর অস্তিত্ব বা সত্যতা নির্ভর করে মানুষের বিশ্বাসের উপর। প্রতিটা সমাজেই ‘অতিপ্রাকৃত’ জগতের সাথে মানুষের সম্পর্ককে ঘিরে বিভিন্ন বিশ্বাস ও ক্রিয়া-কর্ম লক্ষ্য করা যায়।

তবে সকল সংস্কৃতিতে ‘অতিপ্রাকৃত’ ও ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য প্রাকৃতিক জগতের মধ্যে কোন সুস্পষ্ট সীমারেখা টানা হয় না। যেমন, ভূত-প্রেতের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে এমন অনেকের কাছে এসব সত্তা চারপাশের গাছপালা পাহাড়-পর্বত জীবজন্তুর চাইতে কোন অংশে কম ‘বাস্তব’ নয়।

ধর্মের প্রতি নৃবিজ্ঞানীদের আগ্রহ দেখা গিয়েছিল একটি বিদ্যাজাগতিক জ্ঞানকান্ড হিসাবে নৃবিজ্ঞানের আবির্ভাবের সময়কাল থেকেই। উনিশ শতকে যখন নৃবৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা সাধারণভাবে ‘বিবর্তনবাদ’ দ্বারা সংগঠিত ছিল, তখন ধর্মের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ কিভাবে ঘটে থাকতে পারে, এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার ব্যাপারে নৃবিজ্ঞানীরা অধিকতর মনোযোগী ছিলেন।

টায়লর, ফ্রেজার প্রমুখ নৃবিজ্ঞানীর নাম এক্ষেত্রে উল্লেখ্য। পক্ষান্তরে পরবর্তীতে যখন বিবর্তনবাদের বদলে ‘ক্রিয়াবাদ’ নৃবিজ্ঞানে ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখন ধর্ম সমাজ বা ব্যক্তির কি চাহিদা পূরণ করে, এ প্রশ্নটাই মুখ্য ছিল। এ প্রসঙ্গে ধর্মের নৃবৈজ্ঞানিক অধ্যয়নে ডুর্খাইমের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখ্য।

ধর্মের একটি সার্বজনীন সংজ্ঞা প্রণয়ন করতে গিয়ে তিনি ‘অতিপ্রাকৃত’-এর বদলে ‘পবিত্র’-এর ধারণার উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর দৃষ্টিতে ধর্ম হচ্ছে “পবিত্র’ বিভিন্ন কিছুকে ঘিরে যেসব বিশ্বাস ও চর্চা দেখা যায় সেগুলোর সামষ্টিক রূপ, যেসব বিশ্বাস ও চর্চা সমাজের সদস্যদের মধ্যে যৌথতা ও সংহতি এনে দেয়। ডুর্খাইমের মতে কোন বস্তু পবিত্র হয়ে ওঠে এর কোন অর্ন্তনির্হিত বৈশিষ্ট্যের কারণে নয়, বরং তা সমাজের সামষ্টিকতার প্রতিভূ হিসাবে কাজ করে বলেই।

একটা দীর্ঘ সময় ধরে ধর্মের নৃবৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন মূলতঃ আবর্তিত হয়েছিল তথাকথিত বিভিন্ন ‘আদিম’ সমাজের বিশ্বাস ও আচার অনুষ্ঠানের উপর মাঠকর্মকে ঘিরে। তবে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধোত্তর কালে নৃবৈজ্ঞানিক মাঠকর্মের নজর সরে গিয়েছিল ইসলাম, বৌদ্ধধর্ম, খ্রিস্টধর্ম প্রভৃতি বৈশ্বিক ধর্মের (world religion) স্থানিক রূপের উপর। সে সাথে ডুর্খাইমীয় ক্রিয়াবাদের পরিবর্তে ম্যাক্স ওয়েকরের তাত্ত্বিক প্রভাবও অধিকতর দেখা গিয়েছিল, যিনি ঐতিহাসিক ও তুলনামূলক পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধর্মের অধ্যয়নে আগ্রহী ছিলেন।

এক্ষেত্রে ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজের কাজ বিশেষভাবে উল্লেখ্য, যিনি ধর্মকে একটি সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা হিসাবে দেখার উপর, অর্থাৎ নির্দিষ্ট স্থানিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতীকের অর্থ অনুধাবন করার উপর, জোর দিয়েছিলেন। কিছুটা সীমিত পরিসরে ধর্মের নৃবৈজ্ঞানিক অধ্যয়নে মার্ক্সীয় দৃষ্টিভঙ্গীর প্রভাবও কিছুটা লক্ষ্য করা গেছে।

উল্লেখ্য, ডুর্খাইমীয় বিশ্লেষণে যেখানে ধর্মকে দেখা হয়েছে সামাজিক সংহতির বাহন হিসাবে, সেখানে মার্ক্সীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্ম মূলতঃ কাজ করে শ্রেণীগত ও অন্যান্য সামাজিক বৈষম্য টিকিয়ে রাখার একটা হাতিয়ার হিসাবে। বলা বাহুল্য, ধর্মের নৃবৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন ঊনবিংশ শতকীয় বিবর্তনবাদী প্রবণতা থেকে অনেক পথ পাড়ি দিয়েছে, এতে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে আরো বিভিন্ন ধারা যুক্ত হয়েছে, যেখানে নৃবিজ্ঞানে সাধারণভাবে সূচিত বিভিন্ন তাত্ত্বিক, পদ্ধতিগত ও অন্যান্য পরিবর্তনের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

ধর্মের কার্যাবলী

সুদূর অতীত থেকেই মানব সমাজে ধর্মের উপস্থিতি ছিল, এবং বিজ্ঞানের জয়যাত্রার ফলে আধুনিক সমাজে ধর্ম ক্রমশঃ অবান্তর হয়ে পড়বে, অনেকের এরকম ধারণাকে ভূল প্রমাণিত করেই বিভিন্ন সমাজে ধর্ম এখনো সামাজিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিদ্যমান রয়েছে। স্বভাবতঃই সমাজ জীবনে ধর্মের ভূমিকা ও কার্যাবলী সম্পর্কে নৃবিজ্ঞানীদের যথেষ্ট আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। ধর্মের কার্যাবলীর মধ্যে যেগুলি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বলে নৃবিজ্ঞানীদের কাছে বিবেচিত হয়েছে, সেগুলির কয়েকটি নীচে আলোচিত হল।

নিয়ম ও অর্থময়তার অনুসন্ধান

ধর্মের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলীর মধ্যে একটি হল জীবন ও জগতকে বোধগম্য, অর্থময় করে তুলে ধরা। প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের যেসব বিষয় ব্যক্তি তথা সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, ধর্ম সেগুলোর ব্যাখ্যা দেয়। জীবন-মৃত্যু ও জগত সৃষ্টির রহস্য থেকে শুরু করে সমাজ ও এর বিভিন্ন অংশের উৎপত্তি, মানুষের সাথে প্রকৃতির এবং মানুষে মানুষে সম্পর্ক, বিভিন্ন বিষয়ের উপর ধর্ম আলোকপাত করে। এভাবে ধর্ম গড়ে দেয় জীবন ও জগতকে অনুধাবনের বিশেষ ব্যবস্থা, যা মূলতঃ প্রতীকী উপায়ে বাস্তবতার এমন একটি প্রতিরূপ গড়ে তোলে যার মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন ঘটনা ও অভিজ্ঞতার অর্থ, তাৎপর্য ও ব্যাখ্যা খোঁজে।

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার নিরসন

ধর্মীয় অনেক চর্চার একটা প্রধান উদ্দেশ্য হল নানান ধরনের মানবীয় কর্মকান্ডের সফলতা নিশ্চিত করা। ইশ্বর, বিভিন্ন দেবদেবী বা অন্যান্য অতিপ্রাকৃত সত্তার উদ্দেশ্যে মানুষ প্রার্থনা জানায় বা নৈবেদ্য উৎসর্গ করে এই আশায় যে তারা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ইপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। অতিপ্রাকৃত সত্তা বা শক্তিসমূহকে নিজেদের অনুকূলে আনা বা রাখার জন্য বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। যেসব ক্ষেত্রে মানবীয় কর্মকান্ডের ফলাফল সম্পর্কে অনিশ্চয়তা দেখা যায়, সেসব ক্ষেত্রে এ ধরনের আচার অনুষ্ঠানের নিবিড়তাও লক্ষ্য করা যায়।

প্রযুক্তিগতভাবে সব কাজ ঠিকমত সম্পন্ন করার পরও নিজেদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বিভিন্ন কারণে কৃষকের ফসলহানি ঘটতে পারে, বা একজন নাবিক দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারে। যেসব ক্ষেত্রে এ ধরনের আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তা ব্যাপকভাবে বিদ্যমান, সেসব ক্ষেত্রে মানুষকে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের আশ্রয় নিতে দেখা যায়। এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্বাস বা চর্চাসমূহকে অনেকে ‘কুসংস্কার” হিসাবে গণ্য করতে পারে, তবে নৃবিজ্ঞানীরা মনে করেন যে এগুলো পরোক্ষভাবে হলেও ব্যক্তি ও গোষ্ঠীসমূহের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রশমিত করার মাধ্যমে কা িখত ফলাফল অর্জনে সহায়তা করে।

সমাজ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা

ধর্মের কিছু কার্যাবলী রয়েছে যেগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন সমাজ ব্যবস্থাকে টিকে থাকতে সহায়তা করে। যেমন, ভাল-মন্দ সংক্রান্ত ধর্মীয় ধ্যানধারণা সমাজের সদস্যদের সামনে বিশেষ কর্তৃত্ব নিয়ে উপস্থিত হয়, যেগুলোর অনুশাসন সামাজিক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার অনুষ্ঠান অনেক ক্ষেত্রেই বিদ্যমান সামাজিক বিন্যাসকে যৌক্তিক বা গ্রহণযোগ্য হিসাবে তুলে ধরে। আবার বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজের সদস্যদের মধ্যে যৌথতার শক্তিশালী অনুভূতি ও বোধ তৈরী হয়।

সমাজ ও বিশ্বজগতে ব্যক্তির অবস্থান নিরূপণ করে দেওয়ার মাধ্যমে ধর্ম ব্যক্তিকে তার নিজের পরিচয় ও বৃহত্তর পরিমন্ডলের সাথে যুক্ততার বোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। পারলৌকিক পরিত্রাণের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ধর্ম দুর্দশাগ্রস্ত, বিপন্ন বা নিপীড়িত মানুষদের ইহজাগতিক দুঃখ কষ্টকে মেনে নিতে সাহায্য করে। ধর্মের বাণী যখন এভাবে সমাজের ব্যাপক সংখ্যক সদস্যদের হতাশা, ক্ষোভ, ক্রোধ ও গ্লানি মোচনের কাজ করে, তখন পরোক্ষভাবে একটা অসম বা অন্যায় ইহজাগতিক ব্যবস্থাকেই হয়ত টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে ধর্ম।

 

ধৰ্ম : মিথ ও আচার

 

তবে ধর্ম যে সবসময় শুধু স্থূল অর্থে ‘চেতনানাশক” হিসাবে কাজ করে, তা নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে ধর্মীয় ধ্যান ধারণা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে, বা অধিকতর কাম্য সমাজ ব্যবস্থা গড়তেও সাহায্য করে। অন্ততঃ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ধর্মের সূচনালগ্নে তেমনটা দেখা গেছে।

 

ধর্ম : মিথ ও আচার অধ্যায়ের সারাংশ

 

ধর্ম : মিথ ও আচার অধ্যায়ের সারাংশ:

আজকের আলোচনার বিষয় ধর্ম : মিথ ও আচার অধ্যায়ের সারাংশ – যা ধর্ম : মিথ ও আচার এর অর্ন্তভুক্ত, ধর্ম হচ্ছে বিভিন্ন অতিপ্রাকৃত সত্তা, ক্ষমতা বা শক্তি সংক্রান্ত বিশ্বাস ও আচার-অনুষ্ঠানের সামষ্টিক রূপ ‘অতিপ্রাকৃত’ বলতে বোঝায় সেইসব বিষয় যেগুলোকে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য প্রাকৃতিক জগতের বাইরে বা উর্ধ্বে বলে গণ্য করা হয়, যেগুলোর অস্তিত্ব বা সত্যতা নির্ভর করে মানুষের বিশ্বাসের উপর।

 

ধর্ম : মিথ ও আচার অধ্যায়ের সারাংশ

 

নৃবিজ্ঞানীদের মতে ধর্মের বিভিন্ন কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে জীবন ও জগতকে বোধগম্য, অর্থময় করে তুলে ধরা, মানসিক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিরসনে ভূমিকা রাখা, এবং সমাজ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করা। ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে মিথ, সেইসব কাহিনী যেগুলোতে জগত, সমাজ প্রভৃতির সৃষ্টি এবং গন্তব্য সম্পর্কে একটা জনগোষ্ঠীর মৌলিক বিশ্বাসসমূহ বিধৃত থাকে।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

অন্যদিকে আচার ধর্মের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আচারে বিশ্বাস, মূল্যবোধ ইত্যাদির প্রতিফলন ঘটে, আবার আচার পালনের রয়েছে সামাজিক গুরুত্ব। নৃবিজ্ঞানীরা মনে করেন আচার পালন মানুষকে বিভিন্ন ক্রান্তিকাল অতিক্রমে সাহায্য করে, এবং অনেক দলীয় আচার সমাজের সদস্যদের যৌথতা প্রকাশ ও লালনের মাধ্যম হিসাবে কাজ করে।

 

ধর্ম : মিথ ও আচার অধ্যায়ের সারাংশ

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment