লিডীয় সভ্যতা

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় লিডীয় সভ্যতা

লিডীয় সভ্যতা

 

লিডীয় সভ্যতা

 

লিডীয় সভ্যতা

খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে হিট্টাইট সাম্রাজ্যের পতন ঘটলে তার সাবেক রাষ্ট্র- শক্তির মূল অংশে লিডিয়া রাজ্যের উদয় ঘটে। আনাতোলিয়া বা এশিয়া মাইনরের (বর্তমান তুরস্কের অন্তর্গত) পশ্চিমাংশ জুড়ে লিডীয়দের রাজ্য বিস্তৃত ছিল। কিন্তু এদের আধিপত্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ৫৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পারস্য সম্রাট ‘কাইরাস’ লিডিয়ার শেষ রাজা ‘ক্রিসাসকে’ পরাস্ত করে লিডিয়া জয় করেন।

লিডিয়াবাসীরা ছিল ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত মানুষ। সম্ভবত স্থানীয় অধিবাসী ও পূর্ব ইউরোপ থেকে আগত মানুষদের সংমিশ্রণে এদের উৎপত্তি হয়েছিল। সুবিধাজনক অবস্থান ও প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যের জন্যে লিডিয়াবাসীরা প্রাচীনকালের তুলনায় প্রায় উচ্চতম মানের জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত ছিল। ধনদৌলত, বিলাসদ্রব্য ও বর্মসজ্জিত রথের জন্যে লিডীয়রা জগতে বিখ্যাত হয়ে রয়েছে।

ধনকুবের রূপে রাজা ‘ক্রিসাস’-এর জগদ্ব্যাপী খ্যাতি অর্জন থেকে লিডীয়দের সম্পদের প্রাচুর্য অনুমান করা যায়। তাদের সম্পদের মূল উৎস ছিল নদী থেকে (অর্থাৎ নদীবাহিত সোনাবহুল বালি থেকে) আহরিত সোনা, পাহাড়ে বিচরণরত শত সহস্র ভেড়া থেকে আহরিত পশম এবং টাইগ্রীস-ইউফ্রেটিস উপত্যকা ও ঈজিয়ান সাগরের মধ্যেকার ব্যাপক বাণিজ্য থেকে আহরিত মুনাফা। তদুপরি উর্বর জমিতে ফসলও ফলত প্রচুর পরিমাণে।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

একটি গুরুত্বপূর্ব মৌলিক আবিষ্কারের মাধ্যমে লিডিয়া মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে বিশেষ উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। সেটি হল ধাতব মুদ্রা। লিডীয়রাই সর্বপ্রথম নির্দিষ্ট মানের মুদ্রার প্রচলন করে। মুদ্রার জন্যে তারা ইলেকট্রাম ব্যবহার করত। সোনা ও রূপার সংমিশ্রণে উৎপন্ন এ স্বাভাবিক সংকর ধাতুটি লিডিয়ার একটি নদীর বালিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। এর আগে পর্যন্ত সোনার পাত দিয়ে মুদ্রার কাজ চালান হত।

লিডীয়রা নির্দিষ্ট ওজনের ইলেকট্রামকে মুদ্রার আকার দান করে এক পাশে সিংহের মাথা ও অন্য পাশে ধনুর্বাণসজ্জিত মূর্তির ছাপ দিয়ে দিত। পরবর্তীকালে রাজা ক্রিসাস স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রার প্রচলন করেন ।

 

লিডীয় সভ্যতা

 

লিডীয়দের ধর্মবিশ্বাস এশিয়া মাইনরের অন্যান্য জাতির অনুরূপ ছিল। লিডীয়রা পাশা খেলার আবিষ্কার অথবা প্রচলন করেছিল বলে কথিত আছে।

আরও দেখুন :

Leave a Comment