সামাজিক ব্যাধি তত্ত্ব | নৃবিজ্ঞান

সামাজিক ব্যাধি তত্ত্ব যাবতীয় বিষয়াবলী তুলে ধরা হয়েছে। “নৃবিজ্ঞান [ Anthropology ]” হল মানুষ এবং তাদের সংস্কৃতির অধ্যয়ন। এটি একাডেমিক এবং ফলিত অনুশীলনের মাধ্যমে সামাজিক বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। “নৃবিজ্ঞান [ Anthropology ]” বিষয়টি আক্ষরিক অর্থে মানুষ বিষয়ক বিজ্ঞান। নৃবিজ্ঞানের [ Anthropology ] লক্ষ্য হলো অতীত ও বর্তমানের মানব সমাজ ও মানব আচরণকে অধ্যয়ণ করা । বিশ্বের সকল অঞ্চলের, সংস্কৃতির মানুষকে নিয়ে এই বিজ্ঞানে গবেষণা করা হয়।

 

সামাজিক ব্যাধি তত্ত্ব

 

সামাজিক উদ্বেগ হল সামাজিক পরিস্থিতিতে উদ্ভূত এক ধরনের স্নায়ুদুর্বলতা। সামাজিক উদ্বেগ বর্ণালী সম্পর্কিত কিছু ব্যাধিসমূহের মধ্যে উদ্বেগজনিত ব্যাধি, মেজাজের ব্যাধি, অটিস্টিক স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার, খাওয়ার ব্যাধি এবং পদার্থের ব্যবহারের ব্যাধি অন্তর্ভুক্ত । সামাজিক উদ্বেগের উচ্চপর্যায়ে থাকা ব্যক্তিগণ নজর এড়িয়ে চলেন, মুখের ভাব কম প্রদর্শন করেন এবং কথোপকথন শুরু করতে এবং বজায় রাখতে তাদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে দেখা যায়। প্রলক্ষিত সামাজিক উদ্বেগ, এই উদ্বেগের অভিজ্ঞতার স্থিতিশীল প্রবণতা, অবস্থাগত উদ্বেগ থেকে পৃথক হতে পারে।

 

 

এটি একটি নির্দিষ্ট সামাজিক উদ্দীপনার ক্ষণিক প্রতিক্রিয়াও হতে পারে । প্রায় ৯০% ব্যক্তি, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী, তাদের জীবনের এক পর্যায়ে সামাজিক উদ্বেগের (অর্থাৎ লজ্জা ) বোধের প্রতিবেদন করে থাকেন। যে কোনও সামাজিক আশঙ্কায় থাকা ব্যক্তিদের অর্ধেক অংশই সামাজিক উদ্বেগজনিত অসুস্থতার মানদণ্ড পূরণ করে থাকে। বয়স, সংস্কৃতি এবং লিঙ্গ এই ব্যাধিটির তীব্রতাকে প্রভাবিত করে।

সামাজিক উদ্বেগের ক্রিয়াসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সামাজিক যোগাযোগের প্রতি উদ্দীপনা এবং মনোযোগ বাড়ানো, অযাচিত সামাজিক আচরণকে বাধা দেওয়া এবং ভবিষ্যতের সামাজিক পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি প্রেরণা যোগানো।

সামাজিক সমস্যা হলো এমন একটি নেতিবাচক ঘটনা যা সমাজে বসবাসকারী মানুষকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাঁধা সৃষ্টি করে। এটি সামাজিক জীবনযাত্রায় বাঁধা প্রদান করে আবেগীয় ও অর্থনৈতিক ভাবে সামাজিক উন্নয়ন ব্যাহত করে।

== সামাজিক সমস্যার সংজ্ঞা দাও

সমাজকর্ম অভিধান অনুযায়ী

“সামাজিক সমস্যা এমন একটি অবস্থা যা আবেগীয় অর্থনৈতিক দুর্দশা সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজের মানুষকে প্রথা ও মূল্যবোধ পরিপন্থী কাজের দিকে ধাবিত করে”

সমাজ বিজ্ঞানী এল কে ফ্রাঙ্ক

“সামাজিক সমস্যা বলতে এমন একটি সামাজিক অসুবিধা অথবা অসংখ্য লোকের অসদাচরণকে বুঝায় যা সংশোধন করা দরকার”।

 

সামাজিক সমস্যার কারণ

  1. মৌলিক মানবিক চাহিদা অপূরণ
  2. সম্পদের অসম বণ্টন
  3. অতিরিক্ত জনসংখ্যা
  4. প্রাকৃতিক দুর্যোগ
  5. পরিবর্তনশীল সমাজ
  6. দরিদ্রতা
  7. অপুষ্টি
  8. শিক্ষার অভাব
  9. রাজনৈতিক অস্থিরতা
  10. আন্তর্জাতিক চক্র
  11. অপসংস্কৃতি
  12. কুসংস্কার
  13. শিল্পায়ন
  14. সম্পদের অপব্যবহার

সামাজিক সমস্যার প্রভাব

  • নৈতিক অবক্ষয়
  • নিরাপত্তাহীনতা
  • জীবনযাত্রা ব্যাহত
  • সামাজিক সম্পর্ক হ্রাস
  • মাথাপিছু আয় হ্রাস
  • দুর্নীতি
  • সন্ত্রাস
  • উন্নয়ন ব্যাহত
  • দারিদ্র্যতা বৃদ্ধি
  • বাল্য বিবাহ
  • অসচেতনতা
  • পুষ্টিহীনতা
  • ক্ষতিকর অবস্থা সৃষ্টি

 

সামাজিক ব্যাধি তত্ত্ব

 

সামাজিক সমস্যার প্রতিকার

  • জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ
  • কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি
  • মৌল মানবিক অধিকার নিশ্চিত করন
  • সম্পদের সুষম বণ্টন
  • শিক্ষার হার বৃদ্ধি
  • দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ
  • দেশীয় সংস্কৃতির অনুশীলন
  • চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা
  • রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অ্যানায়ন

 

 

সামাজিক ব্যাধি তত্ত্ব নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment