প্রাচীন মগধের অভ্যুদয়

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় প্রাচীন মগধের অভ্যুদয়। মগধ প্রাচীন ভারতে ষোলটি মহাজনপদ বা অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম। ষোলটি মহাজনপদের মধ্যে মগধ বেশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই রাজ্য বর্তমানের বিহারের পাটনা, গয়া আর বাংলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ছিল। রাজগৃহ ছিল মগধের রাজধানী। তারপর পাটলিপুত্র রাজধানী বানিয়ে গিয়েছিলো। রাজা বিম্বসার ছিলেন মগধের প্রথম ঐতিহাসিক রাজা। তিনি অঙ্গ দখল করেন।

প্রাচীন মগধের অভ্যুদয়

 

প্রাচীন মগধের অভ্যুদয়

 

প্রাচীন মগধের অভ্যুদয়

খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে খ্রিস্টের জন্মের পর পঞ্চম শতাব্দী পর্যন্ত প্রায় এক হাজার বছর ধরে উত্তর ভারতে সাম্রাজ্য গঠনের চেষ্টা চলে। এ চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ফলবতী হয় মগধকে কেন্দ্র করে। সমগ্র ভারতে পূর্ণ সাম্রাজ্য গঠনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠার কাজে মগধ একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল ।

খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে গান্ধার থেকে পূর্ব ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত ভূভাগে ষোলটি ক্ষুদ্র-বৃহৎ রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল। ‘ষোড়শ মহাজনপদ’ নামে পরিচিত এই রাজ্যগুলির কোনোটি ছিল রাজতন্ত্রের অধীনে, আবার কোনো কোনো রাজ্যে গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল। এই সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের অনৈক্যের সুযোগেই সেকালে বৈদেশিক আক্রমণ সহজ হয়ে ওঠে।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

পূর্ব ভারতের দুটো রাজ্য ছিল কোশল ও মগধ। গৌতম-বুদ্ধের সমসাময়িক বিম্বিসার ছিলেন মগধের অধিপতি। তিনি কোশলরাজ প্রসেনজিতের ভগিনীকে বিবাহ করে সে রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত কাশী রাজ্যটি যৌতুকস্বরূপ লাভ করেন। বিম্বিসারের পরে তাঁর পুত্র অজাতশত্রুর রাজত্বকালে মগধ রাজ্য সমগ্র গাঙ্গেয় উপত্যকার মধ্যে একটি বড় সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। অজাতশত্রু শোন ও গঙ্গার সঙ্গমস্থলে পাটলী নামে দুর্গ তৈরি করেন।

 

প্রাচীন মগধের অভ্যুদয়

 

অজাতশত্রুর কয়েক পুরুষ পরে শিশুনাগ নামে এক রাজা অবন্তী রাজ্য জয় করে মালব পর্যন্ত মগধের পরিধি বিস্তৃত করেন। এর পরবর্তী বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট মহাপদ্ম নন্দ ‘একরাট’ উপাধি ধারণ করেন। নন্দবংশের শেষ রাজা ধনানন্দের সময়ে মগধের ঐশ্বর্য, প্রতাপ ও সামরিক শক্তির কাহিনী ইতিহাসে বিখ্যাত।

আরও দেখুন :

Leave a Comment