আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস

মানবসভ্যতার ইতিহাসে আফ্রিকা মহাদেশের স্থান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানবজাতির উদ্ভবস্থল হিসেবে আফ্রিকাকে ধরা হয়। এখানেই প্রথম শিকারি মানুষ ও কৃষি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে, এবং এখান থেকেই মানব সমাজ ধীরে ধীরে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে বিস্তার লাভ করে। তবে ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, মরুভূমির বিস্তার এবং উপকূলের অসুবিধার কারণে আফ্রিকার ভেতরের অঞ্চল দীর্ঘ সময় বিশ্বের উন্নত সভ্যতাগুলোর সাথে বিচ্ছিন্ন থেকেছে।

আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস

 

আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস

 

সাহারার প্রভাব ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা

নবোপলীয় কৃষি সংস্কৃতি বিস্তার লাভের পর থেকে সাহারার দক্ষিণে আফ্রিকার ইতিহাস নিয়ন্ত্রিত হয়েছে তার ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতায়।

  • আফ্রিকার উত্তরাংশে—মিশর, কার্থেজ উত্তর উপকূলীয় অঞ্চল—প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম উচ্চতম সভ্যতার উত্থান ঘটে।
  • কিন্তু সাহারার দক্ষিণে, অর্থাৎ নিম্ন আফ্রিকার জনগণ শিকারি বা কৃষিযুগের ট্রাইব সংস্কৃতি ছাড়িয়ে তেমন অগ্রসর হতে পারেনি।

সাহারা মরুভূমি উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে এক বিশাল প্রাচীরের মতো ভূমিকা রাখে।

  • ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল থেকে আফ্রিকার অভ্যন্তরে প্রবেশ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
  • সমুদ্রপথও ছিল প্রতিকূল, কারণ আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরের উপকূল ছিল তরঙ্গবহুল এবং উপযুক্ত বন্দর বা পোতাশ্রয়বিহীন।
  • নদীগুলোও নৌ-পরিবহনের উপযোগী ছিল না।
  • ভেতরের দিকে ছিল উঁচু পার্বত্যভূমি, জলাভূমি এবং ঘন অরণ্য—যা বহিরাগতদের প্রবেশকে কঠিন করে তুলেছিল।

ফিনিশীয় নাবিকেরা চেষ্টা করলেও আফ্রিকার গভীরে তারা পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছিল।

 

আফ্রিকার অভ্যন্তরের সম্ভাবনা বাণিজ্য

যদিও প্রবেশ কঠিন ছিল, তবুও আফ্রিকার অভ্যন্তরভাগ মানুষের বসবাসের অযোগ্য ছিল না।

  • সেখানে ছিল শীতল উপত্যকা, বিস্তীর্ণ তৃণভূমি ও উর্বর নদী উপত্যকা।
  • আফ্রিকার প্রাচীন অধিবাসীরা সোনা, হাতির দাঁত, উটপাখির পালক, পশুর চামড়া ইত্যাদি আহরণে দক্ষ ছিল।
  • এসব সামগ্রী তারা মিশর ও উত্তর আফ্রিকার অন্যান্য সভ্যতার সাথে বাণিজ্যবিনিময়ে ব্যবহার করত।

বিশেষত পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় জনগণ কৃষিকাজে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছিল।

 

প্রাচীন নদী সভ্যতার ভূমিকা

পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দীর্ঘ নদী ছিল যোগাযোগ ও কৃষির মূল ভিত্তি। যেমন:

  • নাইজার নদী – দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬০০ মাইল।
  • সেনেগাল নদী – দৈর্ঘ্য ৫৬০ মাইল।
  • গাম্বিয়া নদী – দৈর্ঘ্য ৩৫০ মাইল।

এই নদীগুলো দিয়ে আফ্রিকার প্রাচীন অধিবাসীরা বিস্তৃত অঞ্চলে একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখত এবং কৃষিকাজ ও বাণিজ্য পরিচালনা করত।

 

শিকারি সংস্কৃতি থেকে কৃষি সমাজে উত্তরণ

২০-২৫ হাজার বছর আগে আফ্রিকায় আধুনিক শিকারি মানুষ ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় ছিল বরফ যুগ, আর সাহারা মরুভূমি তখনও ছিল তৃণভূমি।

  • বরফ যুগের অবসানে (৮-১০ হাজার বছর আগে) পশ্চিম এশিয়ায় নতুন পাথর যুগের কৃষি সংস্কৃতির উদ্ভব হয়।
  • একই সময়ে উত্তর আফ্রিকাতেও কৃষি সংস্কৃতির বিস্তার ঘটে।

কিন্তু বরফ যুগ শেষে উত্তর আফ্রিকার জলবায়ুতে বড় পরিবর্তন আসে—সাহারার তৃণভূমি ক্রমে মরুভূমিতে রূপ নেয়।

  • ফলে কৃষিজীবী মানুষরা দক্ষিণে সরে যেতে বাধ্য হয়।
  • শিকারি সমাজের সাথে কৃষি সমাজের মিশ্রণে গড়ে ওঠে সাহারার দক্ষিণের আফ্রিকার জনসমাজ।

এর পর থেকেই সাহারার দক্ষিণের আফ্রিকা কার্যত বিশ্বের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে

 

জাতিগত বিভাজন

আফ্রিকা মহাদেশে নানা জাতি ও ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর বসবাস দেখা যায়।

  • সাহারার উত্তরাংশে: ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল অঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকে হ্যামিটিক ভাষাভাষী বারবার জাতির শ্বেতাঙ্গরা বসবাস করত। পরে সেখানে সেমিটিকভাষী ইহুদি ও আরব জনগোষ্ঠীর আগমন ঘটে।
  • সাহারার দক্ষিণাংশে: এখানে বাস করত কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠী, যাদের তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করা যায়—
    1. পশ্চিম উপকূল অঞ্চলে: খাঁটি নিগ্রো জাতি।
    2. উত্তরপূর্বাঞ্চলে (মিশরের দক্ষিণ থেকে কেনিয়া পর্যন্ত): মিশ্র হ্যামিটিক-নিগ্রো জাতি।
    3. দক্ষিণ আফ্রিকায়: বান্টু জাতি—যারা নিগ্রো ও অন্যান্য জাতির মিশ্রণে সৃষ্ট।

সাহারার দক্ষিণে বিচ্ছিন্নতা

উত্তর আফ্রিকার উচ্চতর সংস্কৃতির কিছু প্রভাব সাহারার দক্ষিণে পৌঁছালেও, নিম্ন আফ্রিকা কার্যত সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন ছিল। এর ফলে মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণকায় মানুষরা এশিয়া-ইউরোপের উন্নত সভ্যতা থেকে তেমন কোনো উপকার পায়নি।

  • ইউরোপীয় অভিযাত্রীরা পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকে আফ্রিকায় পৌঁছানোর আগে পর্যন্ত বহু হাজার বছর আফ্রিকাবাসীদের সমাজ ও অর্থনীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
  • দক্ষিণ সাহারার অঞ্চলে লাঙল, চাকা, লেখালিপি, পঞ্জিকা বা অঙ্কের প্রচলন হয়নি
  • ফলে সেখানে নবোপলীয় কৃষি সংস্কৃতির বাইরে সমাজব্যবস্থার কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেনি।

 

ব্রোঞ্জযুগ লৌহযুগের সীমাবদ্ধতা

ব্রোঞ্জযুগ ও লৌহযুগের সভ্যতা সাহারার দক্ষিণে প্রসারিত হয়নি।

  • বিচ্ছিন্ন অবস্থার কারণে তারা উচ্চতর সমাজে উত্তরণের সুযোগ পায়নি
  • তবে উত্তর আফ্রিকার প্রভাব কিছুটা প্রবেশ করেছিল—বিশেষত লোহার ব্যবহার। মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় লোহার অস্ত্র ও হাতিয়ার তৈরি হতো, যা প্রমাণ করে প্রযুক্তি সীমিতভাবে হলেও ছড়িয়ে পড়েছিল।

 

ট্রাইব সমাজ রাজনৈতিক সংগঠন

আফ্রিকার কৃষ্ণকায় অধিবাসীরা ট্রাইব সমাজে সংগঠিত ছিল।

  • তারা নবোপলীয় গ্রামে বসবাস করত এবং সমাজ ছিল মূলত গোত্রীয় কাঠামোতে গড়ে ওঠা
  • কিছু উপজাতিতে বংশানুক্রমিক সর্দারের প্রথা চালু হয়, যা আদি ট্রাইব সমাজে ছিল না। এটি ছিল উত্তর আফ্রিকার শ্রেণীভিত্তিক সমাজের প্রভাবের ফল
  • যেমন, বুশম্যানদের মধ্যে বংশানুক্রমিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা পায়।

 

ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিবর্তন

আদি ট্রাইব সমাজে ছিল যাদুবিশ্বাস টোটেম অনুষ্ঠান। কিন্তু উত্তর আফ্রিকার সভ্যতার প্রভাবে—

  • কিছু উপজাতির মধ্যে দেবতাপূজা ধর্মবিশ্বাস প্রচলিত হয়।
  • ইতিহাসবিদরা মনে করেন, দেবপূজার সূচনা মূলত ব্রোঞ্জযুগে হয়েছিল। ফলে আফ্রিকার উপজাতিদের মধ্যেও সভ্য সমাজের প্রভাবে ধর্মীয় চর্চা প্রবেশ করে।

 

উত্তর আফ্রিকার প্রভাব প্রাচীন বাণিজ্য

মিশর, দক্ষিণ আরব ও ফিনিশীয়রা আফ্রিকার অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল মূলত সম্পদের খোঁজে।

  • খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সালের দিকে ভারতবর্ষ ও দক্ষিণ আরবের বণিকরা পূর্ব আফ্রিকার উপকূলের অধিবাসীদের সাথে পণ্য বিনিময় শুরু করে।
  • প্রাচীন মিশরীয় শাসকরাও নীলনদ ও পূর্ব উপকূল দিয়ে আফ্রিকার ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিল।
  • কোনো কোনো ঐতিহাসিক মনে করেন, মিশরের সভ্যতার প্রভাব ধীরে ধীরে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল।

ধাতু শিল্প, কাঠ খোদাই প্রভৃতি কারিগরি বিদ্যা হয়তো মিশর থেকেই কৃষ্ণ আফ্রিকায় বিস্তার লাভ করে।

 

রোমান যুগ এক্সাম রাজ্য

রোমান যুগে বর্তমান ইথিওপিয়ার এক্সাম রাজ্য বিশেষ গুরুত্ব অর্জন করে।

  • রোম সাম্রাজ্যের পূর্বাংশ বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যে পরিণত হলে এক্সামে খ্রিস্টধর্ম প্রসার লাভ করে।
  • অষ্টম শতাব্দীতে ইসলাম উত্তর আফ্রিকায় বিস্তার লাভ করলে ইথিওপিয়া খ্রিস্টীয় ইউরোপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
  • তবুও ইথিওপিয়ায় আজও খ্রিস্টধর্ম বিদ্যমান।

 

ইসলাম উত্তর আফ্রিকার পরিবর্তন

অষ্টম শতাব্দীতে মুসলমানরা উত্তর আফ্রিকা জয় করলে বারবার ও আরবরা সাহারা অতিক্রম করে দক্ষিণ ও পশ্চিম আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে।

  • চতুর্থ শতকে উত্তর আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গরা ঘানায় একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল।
  • ধীরে ধীরে নিগ্রোরা বিজেতাদের আত্মস্থ করে নেয় এবং শেষে কৃষ্ণকায় রাজারা সেই সিংহাসনে আরোহণ করে।
  • দশম শতকের পর মুসলিম বারবাররা ঘানা আক্রমণ করে, এবং রাজ্যটি আংশিকভাবে মুসলিম রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়।
  • আফ্রিকার পূর্ব উপকূলেও বহু মুসলিম রাজ্য গড়ে ওঠে।

 

প্রাচীন আফ্রিকান সমাজের মূল বৈশিষ্ট্য

আফ্রিকার প্রাচীন অধিবাসীরা দীর্ঘ সময় বিশ্বের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় উচ্চতর সভ্যতায় উত্তরণ ঘটাতে পারেনি।

  • তবুও তারা বুদ্ধিহীন ছিল না; বরং পরিবেশ ও পরিস্থিতির সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের বিকাশ ছিল ধীরগতি।
  • নবোপলীয় কৃষি সমাজ, পশুপালন, শিকার, ট্রাইব সংগঠন ও সীমিত কারিগরি বিদ্যার উপর ভিত্তি করেই তাদের জীবনযাত্রা গড়ে উঠেছিল।

 

 

 

আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস

 

নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের সক্ষমতা

যদিও আফ্রিকার সাহারার দক্ষিণাঞ্চল দীর্ঘদিন বিশ্বের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল, তবুও যখনই তারা কোনো নতুন কলাকৌশল বা প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হয়েছে, তখনই তারা সেটিকে আশ্চর্য দক্ষতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে।

  • উদাহরণস্বরূপ, ষোড়শ শতকে ইউরোপীয়রা আফ্রিকায় পৌঁছালে দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণ অধিবাসীরা দ্রুত লোহার ব্যবহার আয়ত্ত করে।
  • অল্প সময়ের মধ্যেই তারা তীরের ফলক তৈরিতে হাড় বা পাথরের পরিবর্তে লোহা ব্যবহার করতে শুরু করে।
  • এটি প্রমাণ করে যে, সুযোগ পেলে আফ্রিকান সমাজ প্রযুক্তিগত উন্নয়ন গ্রহণে পিছিয়ে ছিল না।

 

টমটম বা ঢাকের মাধ্যমে সংবাদ প্রেরণ

আফ্রিকার কৃষ্ণ অধিবাসীরা উদ্ভাবনী শক্তির এক অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছে তাদের টমটম বা ঢাক বাজিয়ে খবর পাঠানোর পদ্ধতিতে

  • আফ্রিকার মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে বহু ভিন্ন ভাষাভাষী উপজাতি বাস করলেও তারা ঢাকের সংকেত দ্বারা যোগাযোগ স্থাপন করত।
  • প্রতিটি উপজাতি ও গ্রাম ঢাকের সঙ্কেত বুঝতে পারত।
  • একটি গ্রাম থেকে ঢাক বাজালে পাশের গ্রাম তা শুনে আবার ঢাক বাজাত, এভাবে খবর ক্রমশ দূরে পৌঁছে যেত।
  • এই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় আফ্রিকার অধিবাসীরা মাত্র একদিনের মধ্যে মহাদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে খবর পৌঁছে দিতে পারত।

 

 

আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস

 

আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস আমাদের শেখায় যে, বিচ্ছিন্ন ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে তারা হয়তো উন্নত সভ্যতায় দ্রুত উত্তরণ ঘটাতে পারেনি, কিন্তু কখনোই স্থবির ছিল না। তাদের জীবনযাত্রায় ছিল অভিযোজন, সংগ্রাম এবং নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের দক্ষতা। সাহারার দক্ষিণে কৃষ্ণ আফ্রিকান সমাজ নবোপলীয় কৃষি সংস্কৃতিতে আবদ্ধ থাকলেও, লোহার ব্যবহার, রাজনৈতিক সংগঠনের প্রাথমিক ধাপ, ধর্মীয় চর্চা এবং ঢাকের মাধ্যমে দূরবর্তী যোগাযোগ—সবই মানব সমাজের ইতিহাসে এক অনন্য অবদান। তাই আফ্রিকার প্রাচীন ইতিহাস কেবল অনুন্নত সমাজের চিত্র নয়, বরং মানব সৃজনশীলতার ও অভিযোজন ক্ষমতার এক অনবদ্য দলিল।

Leave a Comment