Site icon Anthropology Gurukul [ নৃবিজ্ঞান গুরুকুল ] GOLN

রাষ্ট্রবিহীন ব্যবস্থা

রাষ্ট্রবিহীন ব্যবস্থা

রাষ্ট্রবিহীন ব্যবস্থা

আজকের আলোচনা রাষ্ট্রবিহীন ব্যবস্থা নিয়ে। রাষ্ট্রবিহীন রাজনৈতিক ব্যবস্থার নমুনা নৃবিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন ইউরোপের বাইরে। আগের পাঠ থেকে আপনারা জানেন যে বিভিন্ন উপনিবেশে নৃবিজ্ঞানীগণ গবেষণা করেছেন গত শতকের শেষভাগ থেকে। আর রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পাঠ করা হয় এই শতকের মাঝামাঝি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন বিভিন্ন দেশে ইউরোপের মত রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটছে তখনও নানান অঞ্চলে অন্যান্য ধরনের রাজনৈতিক সম্পর্ক ও প্রক্রিয়া চালু ছিল।

রাষ্ট্রবিহীন ব্যবস্থা

 

 

ফলে নৃবিজ্ঞানীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরও মাঠ গবেষণায় সেইসব নমুনা দেখতে পেয়েছেন। সেই সব রাজনৈতিক ব্যবস্থার বর্ণনাই রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানের মূল বৈশিষ্ট্য হয়ে দেখা দিয়েছিল – তা আপনারা এর মধ্যেই জানেন। এখানে দুটো ব্যাপার – লক্ষ্য রাখলে আমাদের পক্ষে বিষয়টাকে বোঝা সহজ হবে।

প্রথমত, নৃবিজ্ঞানীদের অভিজ্ঞতায় রাজনৈতিক -ব্যবস্থা বলতে আধুনিক কালের রাষ্ট্র ব্যবস্থাই ছিল। দ্বিতীয়ত, যে সমাজই হোক না কেন রাজনৈতিক- ব্যবস্থা সেখানে স্থির কিছু নয়। অর্থাৎ, ঔপনিবেশিক শক্তির প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ চাপে যে কোন অঞ্চলে এবং যে কোন জাতিতে নিজস্ব রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বদল ঘটছিল। সুতরাং নৃবিজ্ঞানীরা একটা বদলমান পরিস্থিতির স্বাক্ষী ছিলেন তাঁদের গবেষণার সময়ে।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

এটা আমাদের লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন এই কারণে যে অধিকাংশ নৃবিজ্ঞানীদের কাজেই এই পরিস্থিতি নিয়ে কোন ব্যাখ্যা নেই। আগেই বলেছি, রাজনৈতিক- ব্যবস্থা বলতে কিছু নৃবিজ্ঞানী বুঝিয়েছেন কোন সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সমাজের সদস্যদের দ্বারা সামাজিক নিয়ম পালন করানো, এবং কারো কারো ব্যাখ্যায় সম্পদের বণ্টন প্রক্রিয়া তদারকি করার একটা ব্যবস্থা।

 

 

কোন কোন নৃবিজ্ঞানী বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে রাজনৈতিক -ব্যবস্থাকে চার সংগঠনে ভাগ করেছেন। ব্যান্ড রাজনৈতিক সংগঠন, “ট্রাইব” বা “উপজাতীয়” রাজনৈতিক সংগঠন, চীফডম বা মুখিয়াতন্ত্র এবং রাষ্ট্র।

 

 

রাষ্ট্রবিহীন ব্যবস্থা অধ্যায়ের সারাংশ:

আজকের আলোচনার বিষয় রাষ্ট্রবিহীন ব্যবস্থা অধ্যায়ের সারাংশ  – যা রাষ্ট্রবিহীন- ব্যবস্থা এর অর্ন্তভুক্ত, রাষ্ট্রবিহীন সমাজের রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে নৃবিজ্ঞানীরা গবেষণা করেছেন।

 

 

নৃবিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণায় সমাজের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলি হচ্ছে: ব্যান্ড সমাজ, ট্রাইবাল বা “উপজাতি” সমাজ, চীডম বা মুখিয়া তন্ত্র এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা।

পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে এ ধরনের ব্যবস্থার উদাহরণ সংগ্রহ করেছেন নৃবিজ্ঞানীরা। অনেক নৃবিজ্ঞানীর মতে নৃবিজ্ঞানীদের দেখা এই সকল সমাজ তখন বহির্শক্তি দ্বারা প্রভাবিত ছিল। বিশেষভাবে চীফডমের কথা এখানে বলা হয়। ইউরোপের শক্তি বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে নেবার পর রাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলা হয়।

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version