Site icon Anthropology Gurukul [ নৃবিজ্ঞান গুরুকুল ] GOLN

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় প্রাচীন ভারতের ইতিহাস। মধ্যভারতের নর্মদা উপত্যকার হাথনোরায় প্রাপ্ত হোমো ইরেকটাস-এর প্রক্ষিপ্ত অবশেষগুলি ২০০,০০০ থেকে ৫০০,০০০ বছর পূর্ববর্তী মধ্য প্লেইস্টোসিন যুগে ভারতে মানববসতি উন্মেষের সম্ভাবনার দিকটি নির্দেশ করে। সম্ভবত ভারত মহাসাগরের উপকূলভাগে বহিঃআফ্রিকা অনুপ্রবেশের যাবতীয় নিদর্শন অবলুপ্ত হয়ে গেছে উত্তর-তুষার যুগের বন্যার ফলে। তামিলনাড়ু অঞ্চলে সাম্প্রতিক কিছু আবিষ্কার (যার সময়কাল খ্রিষ্টের জন্মের ৭৫,০০০ বছর পূর্ববর্তী, টোবা আগ্নেয় উদ্গীরণের আগে ও পরে) থেকে এই অঞ্চলে প্রথম শারীরতাত্ত্বিকভাবে আধুনিক মানব প্রজাতির উপস্থিতির কথা জানা যায়।

 

 

ভারতীয় উপমহাদেশে মেসোলিথিক যুগের সূচনা ৩০,০০০ বছর আগে। এই যুগ স্থায়ী হয় ২৫,০০০ বছর। আজ থেকে ১২,০০০ বছর আগে সর্বশেষ তুষার যুগের অন্তিমপর্বে উপমহাদেশে নিবিড় জনবসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়। প্রথম স্থায়ী জনবসতির প্রমাণ মেলে আধুনিক ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ৯০০০ বছর প্রাচীন ভীমবেটকা প্রস্তরক্ষেত্রে।

আধুনিক পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের মেহেরগড়ে খননকার্য চালিয়ে ৭০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ ও তৎপরবর্তীকালের দক্ষিণ এশীয় নিওলিথিক সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। ভারতের খাম্বাত উপসাগরে নিমজ্জিত নিওলিথিক সভ্যতার কিছু নিদর্শন পাওয়া গেছে; রেডিও কার্বন পদ্ধতিতে পরীক্ষার পর যার সময়কাল নির্ধারিত হয়েছে ৭৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এডাক্কল গুহা প্রস্তরযুগীয় লিপির আদিতম নিদর্শনগুলির অন্যতম। সিন্ধু উপত্যকায় ৬০০০ থেকে ২০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ ও দক্ষিণ ভারতে ২৮০০ থেকে ১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে পরবর্তী নিওলিথিক সভ্যতা স্থায়ী হয়।

উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিগত ২০০০০০০ বছরে নিয়মিত জনবসতি গড়ে উঠতে দেখা গেছে। এই অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাসে দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম কয়েকটি মানববসতির এবং প্রধান সভ্যতাসমূহের সন্ধান পাওয়া যায়। উপমহাদেশের প্রাচীনতম প্রত্নক্ষেত্রটি হল সোন নদী উপত্যকার প্যালিওলিথিক হোমিনিড স্থলটি। উপমহাদেশের গ্রামীণ জীবনের সূচনা হয় নিওলিথিক স্থল মেহেরগড়ে এবং প্রথম নগরাঞ্চলীয় সভ্যতার বিকাশ ঘটে সিন্ধু অববাহিকা অঞ্চলে।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস

 

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস

সমাজ ও অর্থনীতির বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ অসঙ্গতির জন্য রোমক-সাম্রাজ্য অবলুপ্ত হলেও রোমাক সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান, নির্দশন, কলাকৌশল ও চিন্তাধারার প্রভাব কিন্তু সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়নি। অবশ্য রোমক ঐতিহ্যের মাধ্যমে গ্রীক সংস্কৃতির অনেক উপাদানও পরবর্তী মানব-সমাজকে প্রভাবিত করেছে।

রোমক স্থাপত্যশিল্প মধ্যযুগের ইউরোপে নির্মিত গির্জা ও প্রাসাদ নির্মাণকে এমনকি আধুনিক যুগের পাশ্চাত্য দেশের সরকারি ও সার্বজনীন ভবন নির্মাণকে প্রভাবিত করেছে। আধুনিক ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে যে নগর চত্বরে ঘোড়ায় চড়া মূর্তি, তোরণ, স্তম্ভ, মহৎ ব্যক্তিদের প্রতিমূর্তি প্রভৃতি স্থাপন করা হয়, তাতে রোমক সংস্কৃতির প্রভাব বিদ্যমান।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

রোমক আইন (বিশেষত ধনিকের সম্পত্তি রক্ষা সম্পর্কিত আইন) আধুনিক কালের ইউরোপ ও আমেরিকার এবং সে সূত্রে সারা ধনতান্ত্রিক দুনিয়ার আইন ও জ্ঞানচর্চার পুনরুজ্জীবনে রোমক সাহিত্য এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। রোমক রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় সংগঠন খ্রিষ্টীয় ক্যাথলিক চার্চের সংগঠনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।

 

আরও দেখুন :

Exit mobile version