Site icon Anthropology Gurukul [ নৃবিজ্ঞান গুরুকুল ] GOLN

রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু

আজকের আলোচনার বিষয় রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু নিয়ে। আমরা যখনই রাজনৈতিক ব্যবস্থার কথা বলি আমাদের মাথায় ভেসে আসে সংসদ, নির্বাচন, গণতন্ত্র, রাজনৈতিক দল এমনি আরো অনেক কিছু। এর কারণ হ’ল আমরা ছোটবেলা থেকে এগুলোকেই – রাজনৈতিক ব্যবস্থা বলে জেনে এসেছি। আপনারা আগেই জেনেছেন যে নৃবিজ্ঞানীরা ইউরোপের বাইরে গিয়ে নানান সমাজ দেখতে পান যেসব সমাজে ইউরোপের থেকে ভিন্ন ব্যবস্থা ছিল। তাঁরা লক্ষ্য করলেন যে সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখবার জন্য সেখানকার ব্যবস্থা একেবারেই ভিন্ন।

নিজ সমাজের বাইরে অন্যান্য সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবার আলাদা স্বতন্ত্র ব্যবস্থাও সেসব সমাজে আছে। সেইসব সমাজের অনেকগুলিই তখন রাষ্ট্রব্যবস্থার অধীন নয়। স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র সে সব সমাজ। সাধারণভাবে মনে হতে পারে যে এসব সমাজে রাজনৈতিক ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। কারণ প্রচলিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞানে রাজনীতি বলতে কেবল রাষ্ট্র সংক্রান্ত কর্মকান্ড বোঝানো হয়ে থাকে। প্রচলিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই জ্ঞান এতটাই শক্তিশালী যে বর্তমান কালের একজন সাধারণ মানুষ, যিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়েননি, তিনিও এইভাবে চিন্তা করে থাকেন।

রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু

 

 

নৃবিজ্ঞানীরা প্রথম ভাবতে চেষ্টা করলেন যে এ সকল সমাজেও রাজনৈতিক ব্যবস্থা আছে। এই ভাবনা-চিন্তা করবার জন্য তাঁদের প্রথমেই রাজনীতির চিরাচরিত সংজ্ঞা বদলাবার প্রয়োজন দেখা দিল। তাহলে গোড়াতেই প্রশ্ন চলে আসে কি বৈশিষ্ট্যকে রাজনৈতিক ব্যবস্থা বলা হবে।

নৃবিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করলেন যে প্রচলিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু হচ্ছে আধুনিক রাষ্ট্রের উপাদানগুলি। যেমন: সরকার – এর দায়িত্ব ও গঠন, সংসদ, নির্বাচন, রাষ্ট্রের উদ্ভব, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের স্বাতন্ত্র্য, লোক প্রশাসন, আধুনিক রাষ্ট্রে জনগণের ভূমিকা ইত্যাদি। এটাও আমাদের মনে রাখতে হবে যে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের লেখাপড়া অনেক প্রাচীন।

ফলে সেই শাস্ত্রের ধারণা, সংজ্ঞা ও পদ্ধতি সব কিছুই যথেষ্ট পরিচিত। প্রচলিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সেই সীমাতে অনেক সমাজের পদ্ধতি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক ব্যবস্থা বলতে নৃবিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু বুঝিয়েছেন। কোন একটা সমাজ তাদের সমাজে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য, দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনের জন্য এবং অন্যান্য সমাজের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য যে কর্মকান্ড এবং নীতিমালা থাকে তাকে সংক্ষেপে রাজনৈতিক ব্যবস্থা বলা যেতে পারে।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

এই চিন্তাধারা থেকে রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানীরা তাঁদের চর্চা শুরু করেন। কিন্তু অতি তাড়াতাড়ি তাঁদের এই চর্চা খুব বড় মাপের সমালোচনার মধ্যে পড়ে যায়। এই সমালোচনার মূল জায়গাটা হ’ল: কোন বিশেষ একটা শাখা হিসেবে রাজনৈতিক প্রসঙ্গকে দেখা সংকুচিত দৃষ্টিভঙ্গি। বরং রাজনীতিকে সর্বব্যাপী বিষয় হিসেবে দেখা দরকার। নিচে সেই প্রসঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।

নৃবিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার চাইতে রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞান তুলনামূলকভাবে নতুন এবং ক্ষণস্থায়ী। নতুন এই কারণে যে, নৃবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিত হবার বেশ পরে এই শাখার নাম শোনা গেছে। নির্দিষ্টভাবে বললে ‘৪০-এর দশকে। আর ক্ষণস্থায়ী এই কারণে যে, সমালোচনার পর রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞান ঠিক আর একটা উপশাখা হিসেবে কাজ করছে না। বরং আরও ব্যাপক পরিসরে রাজনীতিকে বোঝার তাগিদ তৈরি হয়েছে পরবর্তীকালে। সেই তাগিদ থেকে রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানকে একভাবে ভেঙ্গে নতুন ভাবে গড়ে  তোলা হয়েছে। কারণ রাজনীতি কি সেটা বোঝার জন্য ‘৬০-এর দশকের পরে দুনিয়া জুড়ে নতুন তর্ক তৈরি হয়েছে।

তবে এই সময়কালে (‘৬০-এর দশকের পরবর্তী কালে) নৃবিজ্ঞানের পাশাপাশি অন্যান্য শাস্ত্রও নৃবিজ্ঞানের উপলব্ধি নিয়ে কাজ করতে শুরু করে। সেটা আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষভাবে রাজনীতি নিয়ে নৃবিজ্ঞানের ভাবনা-চিন্তার গুরুত্ব বোঝার জন্য এই বিষয়টা খেয়াল রাখা খুবই জরুরী।

 

 

অন্যান্য শাস্ত্রের মধ্যে আছে: ভূগোল, সামাজিক ইতিহাস, সাহিত্য তত্ত্ব ও সাহিত্য সমালোচনা, শিল্পকলা ও এর ইতিহাস, পুরাশাস্ত্র, দর্শন, এবং অবশ্যই নারীবাদ। তাহলে বলা যায় যে, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানের বিষয়বস্তুর বদল ঘটেছে। সেই বদলকে লক্ষ্য করলেই মোটামুটি রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু এবং এর মধ্যকার বিতর্ককে চেনা যাবে। এখানে রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানের নতুন কালের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনার আগেই প্রথম যুগের রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্য ও পরিচয় নিয়ে সামান্য আলোকপাত করা প্রয়োজন ।

 

 

রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু অধ্যায়ের সারাংশ:

আজকের আলোচনার বিষয় রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু অধ্যায়ের সারাংশ – যা  রাজনৈতিক -নৃবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু এর অর্ন্তভুক্ত, প্রথম দিকের নৃবিজ্ঞানীরা রাষ্ট্রবিহীন সমাজ নিয়ে গবেষণা করেছেন। রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞান বলতে সেটাই বোঝা হ’ত।

 

তাঁদের মুখ্য যুক্তি ছিল সকল সমাজেই রাজনীতির প্রসঙ্গ জড়িত। কিভাবে কোনও বিশেষ একটি সমাজে নিয়ম-কানুন, রীতি-নীতি, আইন-শৃঙ্খলা দেখভাল করা হচ্ছে সেটাই রাজনৈতিক- নৃবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ছিল। ইদানিং কালের নৃবিজ্ঞানীরা রাজনীতি বলতে ক্ষমতা প্রসঙ্গকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন । ফলে রাষ্ট্র থাকা না থাকা আর মুখ্য ব্যাপার নয়। ক্ষমতা প্রসঙ্গকে কেন্দ্রীয় গুরুত্ব দিয়ে ভাববার ফলে রাজনৈতিক- নৃবিজ্ঞানের পরিধি এখন অনেক প্রশস্ত। তবে অনেকেই স্বতন্ত্রভাবে রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞান নামে একটি শাখা থাকার বিপক্ষে।

 

 

উত্তরাধুনিকতা, নৃবিজ্ঞান এবং রাজনীতি:

১৯৬০ সালের শেষ দিকে যখন নতুন সম্পর্ক এবং নতুন স্বর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে প্রবেশ করেছিল তখন রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব হয়েছিল । একই সাথে ৬টি উদাহরন বা নমুনা বের হয়ে এসেছিল যা স্বার্থক ভাবে উপপর্যায়ের সাথে আন্তঃসম্পর্কিত । এই ৬টি প্যারাডাইম হচ্ছে নব্যবিবর্তনবাদ ,ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক তত্ত্ব, রাজনৈতিক অর্থনীতি, কাঠামোবাদ, ক্রিয়া তত্ত্ব, পদ্ধতিগত তত্ত্ব । ৩য় বিশ্বের রাজনৈতিক সংগ্রাম প্রসংগে বলা যায় যে, ঔপনিবেশিকতাবাদ থেকে বেরিয়ে আসা এবং নতুন জাতির স্বীকৃতি সামাজ্যবাদ এবং নব্যসামাজ্যবাদ গঠন করে যাকে অর্থনৈতিক সামাজ্যবাদ বলা হয় যা উপপর্যায়ের সাথে জড়িত ছিল ।

১৯৬৫-১৯৭৩ সালের ভিয়েতনাম যুদ্ধ ক্যাথলিন গোফ এর জন্য প্রভাবক ছিলো যে ক্যালিফোর্নিয়া রেডিও সম্প্রচার থেকে সাম্রাজ্যবাদের বিপ্লবের এবং বিপ্লব বিরোধীতার নৃবিজ্ঞান অধ্যয়নে ডাক দেওয়ার কথা বলেছিল । তালাল আসাদ তার, Anthropology and the colonial Encounter (1973) বইতে নৃবিজ্ঞান এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের মধ্যে সমস্যাগত সম্পর্কগুলো নিয়ে সমালোচনা মুলক বিশ্লেষন করেন । Pierre Bourdieu ফ্রান্সের উপনিবেশিক মনীষীদের সুসম্পর্কের জন্য বর্ননামুলক গননার মাধ্যমে যাচায়বাচাই করতে বৃহৎ সম্পত্তি ব্যবহার করেছিল , পরিত্যক্ত বিষয় গুলো দেখে , নীরবে অনেক সাধারন মানুষের মুখে প্রচলিত আলজেরিয়ান এথনোগ্রাফির অধ্যয়ন করে ।

যখন মার্কসবাদ ৩য় বিশ্বের রাজনীতির বিশ্লেষনের মধ্যমে আনেক উন্নতি করে তখন রাজনৈতিক অর্থনীতি একের আগের দিক থেকে অনেকটা মৌলিক আকারে আবার ফিরে আসে । একটি নতুন সংশোধনবাদী কাঠামোগত মার্কসবাদী রাজনীতিতে গৃহস্থালী এবং গোত্র হতে উপনিবেশিক এবং ঔপনিবেশিকবাদকে বিভিন্ন পদে ভাগ করে বিশ্বের অসম পরিবর্তন , নির্ভরশীলতা , এবং অনুন্নত দেশের উপর সরাসরি মনোনিবেশ করেন । এই বিশ্লেষনের বেশির ভাগ উত্তর এবং পশ্চিম Francophone এ কর্মরত পন্ডিতদের দ্বারা আলোচিত হয়েছিল কিন্তু নির্দিষ্ট ক্রমবিন্যাসে দেওয়া এটির বিষয়বস্তু নমুনা গুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ।

এটা অপ্রতিদ্বন্দি ছিল না । এই প্রতিক্রিয়া গুলো ইতিহাস থেকে সরে যাওয়া নৃবিজ্ঞানের লেখকদের উত্তেজিত করে । বুদ্ধিজীবী ব্রিটিশ মার্কসবাদী হিসটোরিগ্রাফিক এবং ই. পি থোম্পস এর একক কাজ গুলোর মধ্যে একট বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে , রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানের চুক্তিগুলো নিযুক্তক এবং প্রক্রিয়ার সাথে অধিকতর জনবলের দ্বারা গড়ে ওঠেছিল । কৃষক বিরোধ শক্তি , শ্রমিকদের গতিশীলতা এবং আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার পুজিবাদের সংকটকালের কেন্দ্রবিন্দুতে এট একটা সমন্তরাল সম্পর্ক (Cooper , Isaacman, Mallon , Roseberry and Stern 1993) ।

ঐতিহাসিক অবস্থার দিকে মনোযোগ না দেওয়া , শ্রেণী এবং আগ্রহের প্রতিযোগিতায় আধুনিক বিশ্বের পদ্ধতির পরিধী কিছু সমালোচনার অমীমাংশা জনিত অবস্থার সৃষ্টি করে যাকে প্যারাডাইমের মধ্যে ধরা হত । সবচেয়ে উত্তেজিত প্রবনতাগুলো দক্ষিন এশিয়ার সাবলটার্ন অধ্যয়নের ঐতিহাসিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে উন্নত হয়েছিল । নৃবিজ্ঞানী এবং সাহিত্য পর্যালোচকদের মধ্যে ইতিহাস লেখকরা উপমহাদেশিও সাম্রাজ্যের Historiographyএর মধ্যে সাবলর্টান গ্রুপের রাজনৈতিক কর্মকান্ড গুলো সেরে(Recover) উঠার একটা প্রচেষ্টায় কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন করতে শুরু করেছিল ।

Bernard cohn ছিল নৃবিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে যিনি ভারতীয় উপনিবেশিকদের মধ্যে রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানে উত্তেজিত ক্ষমতার সম্পর্কে অধ্যয়ন করেন আবার সাম্রাজ্যবাদ , জাতীয়তাবাদ , কৃষক বিদ্রোহ , শ্রেণী (Class)এবং লিঙ্গ (Gender) সম্পর্কে ভাবা হয় । উপনিবেশিক নিয়ম এবং রাজনৈতিক অর্থনীতির বিনিময়ের আরোহন হিসেবে ঐতিহ্যের আবিস্কার প্রতিধ্বনিময় বিষয়বস্তু হয়েছিল । ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা গুলো রাজনীতির নব্যনৃবিজ্ঞানীদের মধ্যে সমাজবিজ্ঞানী এবং অর্থনীতিবিদের যথাস্থানে রাখতে শুরু করেন ।

পৃথিবীর লক্ষনীয় আপেক্ষিক বিষয় এবং স্থানীয় রাজনীতিতে দোভাষী তত্ত্ব হতে রাজনৈতিক অর্থনীতি ভাগ করা হয়েছিল । আগেকার সময় ইউরোসেন্ট্রিক হিসেবে চরিত্র গঠন করা হত যা রাজনীতিবিমূখ , পেশাদার উভয় অভিযোগ থেকে মুক্ত । Eric Wolf ‘s তার Europe and the People without History (1982) বইয়ের মুল বিষয় ছিল রাজনীতির অর্থনীতি , Geert’s এর Local knowledge (1983) বইয়ের ঘটনা এবং আইনের মধ্যে তুলনামুলক বৈশিষ্ট্য উপর দোভাষীর প্যারাডাইম সম্পর্কে একটি নির্দিষ্ট অধ্যায়ে দাবী রাখা হয়েছিল । একটি প্রচেষ্টা চর্চা তত্ত্বের পুনঃপ্রস্তাব করতে তৈরী ছিল কিন্তু ইতিহাসের প্রবনতার মধ্যে উভয় ক্যাম্পের এই পত্যাবর্তনে শুরুর দিকের সমাজ বিজ্ঞান পদ্ধতিতে পাওনা দিয়ে দেয় ।

 

রাজনীতির অবস্থা , আধিপত্য এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা:

যেখানে রাজনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা ,গৃহ যুদ্ধ ,সহিংসতা এবং সন্ত্রাস ছিল খুব সাধারন একটা বিষয় সেখানে একটা রাষ্ট্রের মধ্যে মাঠ গবেষনা করা অনেক বেশি কঠিন অথবা অপ্রিয় ছিল তাই রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞান বিগত ঔপনিবেশিকতাবাদ এর অধ্যয়নের দিকে অধিকতর ঝুকে পড়েছিল । রাষ্ট্রের ক্ষমতা এবং অপব্যবহারের সমালোচনামুলক নিবন্ধনের অধ্যায়নের মাধ্যমে ইহা দৃষ্টিগোচর হয়েছে কিন্তু রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানীরা নির্দিষ্ট এলাকা সীমাবদ্ধ করেছিল এবং প্রতিরোধ ক্ষমতার স্বাতন্ত্র গল্প এবং অস্থায়ী বাসস্থান, প্রতিদন্দ্বিতা ,তলোয়ার যুদ্ধে ক্ষিপ্র প্রত্যাঘাতে সাধারনত অনেক অবদান রেখেছিল । রাষ্ট্রের ক্ষুদ্র রাজনৈতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা আধিপত্য শ্রেণির বিপরীতে মৌখিক ইতিহাস , লোক গল্প , ধর্মীয় প্রার্থনার প্রথা , ঢোল উৎসব এবং নারীদের অসুস্থতা শুধুমাত্র কিছু এথনোগ্রাফিক কেস স্ট্যাডি হিসেবে উপলব্ধি করতে পেরেছে ।

সম্ভবত গ্রামশী এবং রাইমন্ড উইলিয়ামস এর আধিপত্য জাতির কাছে অসমালোচনামুলক অবলম্বন,এমনকি ইহার ব্যাপ্তিকে রোমাঞ্চিত এবং অতিব্যবহারিকের একটি প্রতিফলন হিসেবে প্রতিরোধ ক্ষমতার একটা মূল ধারনা হয়েছিল । আধিপত্য মানবজাতির বিবরন সম্পর্কিত ভাবে প্রদর্শনী, স্মৃতিরক্ষন এবং স্মারকবাদ, মনোরম ভাবে জাতির সম্পদ এবং বস্তুগত সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।নৃবৈজ্ঞানিক আধিপত্যের স্বার্থকতার ধারনা নিয়ে খেলা করে ,এটা ডুর্খেইম এবং র্যা ড ক্লিফব্রাউন থেকে পাওয়া আদেশের সাথে দীর্ঘ সম্পর্কযুক্ত তারপর থেকে এটি ফলাফলের বিন্যাসের জন্য সংগ্রামের মাধ্যমে জিতে নেয় ।

 

সংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব:

সাম্রাজ্য বাদের সময় পুঁজির আগ্রহ সারি বদ্ধভাবে ছিল না । রাজনৈতিক পরিবর্তন ও কার্যকর জটিলতা ব্যবসার আগ্রহীর উদ্বিগ্নতার কারন হয়ে দাঁড়ায় । আটলান্টিকের উভয় দিকে রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞান অর্থের দিকে ধাবিত হয়েছিল । উদাহরন স্বরুপ বলা যায় রোবার্ট রেডফিল্ড এর মাঠ কর্ম ভিত্তিক তহবিল সংস্থা The social Science Research Council এবং আফ্রিকায় ম্যকিনোস্কির ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা রোকফিলার ফাউন্ডেশন এর বিজ্ঞাপন চিত্র ।
যদিও ম্যক্সিকো স্পেনের উপনিবেশ ছিল তার পাওয়া তহবিলের প্রতিনিধি ও পন্ডিত্যগত হতাশায় আচ্ছন্ন ছিল ।

বলিভিস্ক Tepoztlan দ্বারা পরাজিত হয়েছিল তখন র্যাড ফিল্ড সেখানে উপস্তিত ছিল । তবুও সে সেখানকার লোক সমাজ থেকে অধ্যয়নের জন্য অনেক গুলো উদাহরন নিয়ে এসে ছিলেন । নৃবিজ্ঞানে তার সমালোচনার বিষয় ছিল সামান্তবাদ কৃষক সম্প্রদায় ও গ্রামের নিম্নবিত্তদের নিয়ে । রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানের উন্নতির জন্য এই সংস্কৃতির অধ্যয়ন অকার্যকরী তা প্রমান করে । মনিকা হান্টারের একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রবন্ধ হচ্ছে Reaction to Conquest: Effects of contact with Europeans on the pondo of South Africa (1936) কিন্তু উত্তর আমেরিকার ম্যাকলিউড এর ঐতিহাসিক প্রবন্ধ ঐসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রহিত হয়নি ।

সংস্কৃতির সংস্পর্শের চেয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের অধ্যয়ন এ কার্যকর কোন উদাহরন নেই । ক্রিয়াবাদী নৃবিজ্ঞানে সমগ্র নীতিমালা এবং সিনক্রোনিক এতটায় এনগ্রেইন্ড ছিল যে এই পদ্ধতিগুলো আধিপত্য বিস্তার করত রাজনৈতিক সর্ম্পক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের উপর । এই সময়টাও খুব দুরভাগ্য পুর্ণ ছিল । ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পরে রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞান মাঠ কর্মের দিকে ধাবিত হয় । এটা রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ও এর পরিবর্তনের উপর আলোকপাত করে না । এই সময়টি দুর্ভাগ্য জনক । দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ (১৯৩৯-৪৬) এর পর অধিক আগ্রহের দ্বারা পৃথক , অনেক গৃহিত, রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানের মাঠটি আবদ্ধ করতে আবির্ভুত হয়েছিল । কিন্তূ সরকারের গঠন এবং রাজনৈতিক সংগঠনের পদ্ধতিগত সভাবের উপর আলোকপাত করে ।

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version